বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন আশরাফুল আলম (হিরো আলম)।
সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট মামলা করেন তিনি। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে যান হিরো আলম।
এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। হিরো আলমের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানান তারা।
আদালত চত্বরে অবস্থান নেয়া বিএনপির এক নারী কর্মী বলেন, সে মামলা করতে আসবে আর আমরা কি করবো? আমরা কি হাতে মেহেদী লাগিয়ে বসে আছি।
তিনি বলেন, আমরা ওরে ছাড়বো না। দেখি ও কতক্ষণে এখানে আসে। ও আসুক। আমরা ওর জন্য রেডি আছি।
পরে পুলিশের পাহারায় আদালতে প্রবেশ করেন হিরো আলম এবং সম্মানহানির জন্য রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন।
আদালত মামলা গ্রহণ করেন এবং তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ডিবিকে নির্দেশ দেন।
এদিকে গতকাল রোববার বিকেলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালতে যান হিরো আলম।
তার আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ‘পাগল ও অশিক্ষিত’ বলায় বিএনপি নেতা রিজভীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে যান তিনি। অবমাননাকর মন্তব্য করায় রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান।
ডিবি কার্যালয় থেকে বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তিনি। কিন্তু আদালতে প্রবেশ না করে তাকে বহনকারী হায়েস গাড়ি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্কিংয়ে অবস্থান নেয়। এসময় তিনি গাড়িতে বসে অ্যাডভোকেট মুনসুর আলী রিপনের সঙ্গে পরামর্শ করেন।
এর আগে, ডিবি কার্যালয়ে সময় সংবাদকে হিরো আলম বলেন, ‘তিনি (রিজভী) আমাকে পাগল এবং অশিক্ষিত বলেছেন, কিন্তু সংবিধানে লেখা আছে একজন পাগলকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকার দেয়া হয় না। আমি তো এমন কিছু পাইনি যে, হিরো আলম ভোটে দাঁড়াতে পারবে না। আমাকে পাগল কেন বলবে? অশিক্ষিত কেন বলবে? সারা পৃথিবীর মধ্যে আমাকে অবমাননা করে কথা বলেছেন।’
হিরো আলমের প্রশ্ন, বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগকে নিয়ে কখনও উল্টাপাল্টা কথাবার্তা আমি বলিনি। তারা কেন আমাকে নিয়ে এমন উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলবে? তাই অপমানসূচক এবং অবমাননাকর কথাবার্তা বিচার চাইতেই ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিওতে হিরো আলম বলেন, আমাকে বলা হয় অশিক্ষিত। সংবিধান স্বশিক্ষিত লেখার অধিকার দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন নমিনেশন পেপারে স্বশিক্ষিত লেখার সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, ‘আমাকে অশিক্ষিত বলে আপনারা নিজেদেরও অশিক্ষিত বলে গালি দিচ্ছেন। কারণ, আপনারা যে নেত্রীর দল করেন, আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদ জিয়া, তিনি কিন্তু এইট পাস ছিলেন। এখন আপনারা লেখাপড়া শিখতে শিখতে পাস হয়ে গেছেন, ঠিক না? তিনি এইট পাস ছিলেন, আমি সেভেন পাস। এক ক্লাস নিচে।’
এ সময় নিজের টেবিলে রাখা বই দেখিয়ে তিনি বলেন, হিরো আলম এখন প্রচুর বই পড়ে, শিক্ষিত হওয়ার জন্য।