কারাগারে ইমরান খানের জীবন হুমকির মধ্যে। সেখানে তাকে খেতে দেয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস-প্রেসিডেন্ট শাহ মাহমুদ কোরেশি।
রোববার ( ৬ আগস্ট) এআরওয়াই নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, ইসলামাবাদের ট্রায়াল কোর্টে রায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাহোর পুলিশ ইমরান খানের জামান পার্কের বাসভবনে পৌঁছে যায় এবং তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, কোর্ট ইমরান খানকে আদিয়ালা কারগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন; কিন্তু তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে অ্যাটক কারাগারে। সেখানে তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই। এমনকি সেখানে বি ক্লাস সুযোগ-সুবিধাও দেয়া হচ্ছে না। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সি ক্লাস কারাগারে রাখা হয়েছে।
কোরেশি বলেন, আইনজীবীদেরও ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না। পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে পিটিআই প্রধানের স্বাক্ষর ছাড়া তার মুক্তির জন্য আপিল করাও সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ইমরান খানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে পলি ক্লিনিক মেডিকেল বোর্ডে নিয়ে যাওয়া হয়নি। যদিও এটি সব বন্দির অধিকার; আর এটা করাগার কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
এছাড়াও তিনি ইমরান খানের জীবন হুমকির মুখে থাকায় বিচারকদের সেদিকে নজর দেয়ার দাবি জানান।
শনিবার (৫ আগস্ট) তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদের ট্রায়াল কোর্ট। এছাড়াও আদালতের রায়ে তাকে এক লাখ রুপি জরিমানা ও ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদালতের রায়ের পরপরই তাকে লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে পাঞ্জাব পুলিশ।