সীমা হায়দার ও আঞ্জুর কাহিনী এখন পুরনো। সীমান্ত পার প্রেমের এবার নতুন আলোচনায় পাকিস্তানের আমিনা। ভারতীয় ভিসা পেতে ব্যর্থ হয়ে করাচির তরুণী অনলাইনে বিয়ে করেছেন ভারতের যুবক আরবাজকে।
গত কিছুদিন ধরে সীমান্ত পার প্রেমের আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে যাওয়া সীমা হায়দার। যিনি চার সন্তান রেখে তার ভারতীয় প্রেমিক শচীনকে বিয়ে করেছেন।
এ ছাড়া প্রেমের টানে স্বামী, সন্তান ছেড়ে এবং হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে পাকিস্তানি যুবক নসরুল্লাহকে বিয়ে করা আঞ্জুও ছিলেন আলোচনায়। বর্তমানে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় বসবাস করছেন নসরুল্লাহ ও আঞ্জু। তবে এবার সীমান্ত প্রেমের নতুন আলোচনায় পাকিস্তানের আমিনা ও ভারতের আরবাজ।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের রাজস্থানের যোধপুরের বাসিন্দা আরবাজের পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানের আমিনার পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আরবাজের পরিবারের একজন সদস্য এর আগে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন।
জানা গেছে, বিয়ে করার জন্য ভারতে আসার ভিসার আবেদন করেছিলেন আমিনা। তবে ভিসার আবেদন মঞ্জুর হয়নি। তাই দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে অনলাইনে বিয়ে করেন তারা।
আরবাজের বাবা মোহাম্মদ আফজাল বলেছেন, ‘আমার এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নাতি এর আগে পাকিস্তানের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। তাদের পারিবারিক জীবন খুশি দেখে আমিনার পরিবার আমাদের ছেলের কাছে তাকে বিয়ে দিতে চেয়েছে। আমরাও এই বিয়ের প্রস্তাব মেনে নিয়েছি।’
সূত্র অনুযায়ী, আরবাজ বরযাত্রীসহ যোধপুরের ওসওয়াল সমাজ ভবনে যান এবং সেখানেইর কনের সঙ্গে অনলাইনে বিয়ে হয়।
আরবাজের বাবা মোহাম্মদ আফজাল পেশায় একজন ঠিকাদার। তিনি জানান, কম খরচে খুব সাধারণভাবে বিয়েটি হয়েছে।
গত বুধবার (২ আগস্ট) রাতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিয়েটি সম্পন্ন হয়। এসময় ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়রা এই শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও আমিনা এখনও যোধপুরে তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তাকে পুরো ভিসা এবং অভিবাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
পেশায় একজন ডিটিপি অপারেটর আরবাজ বলেন, আমিনা শিগগরিই ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে ভিসা পেতে যথেষ্ট সময় লাগবে। তাই আমরা অনলাইনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’