মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টু, নড়াইল প্রতিনিধি।।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে বলেছেন- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সব দলের অংশগ্রহণ চাই। প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ভোটে যাকেই নৌকা দেওয়া হবে তাকে নিজগুণে জিতে আসতে হবে। কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না।
তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনী আসন ধরে জরিপ চলছে। জরিপের আলোকে প্রার্থী বাছাই করা হবে। যাকে দিয়ে বিজয়ী হওয়া সম্ভব তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন কথায়- আশাবাদী হয়ে উঠছে নড়াইলের সাধারণ জণগন। তারা মনে করেন- নিজগুণে যদি জিততে হয় তবে নড়াইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন খান নিলু মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারবেন। নিজামউদ্দিন নিলু নড়াইলের তারুণ প্রজন্মের কাছে যেমন জনপ্রিয় তেমনি তৃনমূলের আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নিজেকে টেনে নিয়ে এসেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। নড়াইলের সাবির্ক উন্নয়নও হচ্ছে তার হাতধরেই। তাই দলীয় কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসীর অধিক আগ্রহের কারণ- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে মো:নিজামউদ্দিন খাঁন নিলু কে নৌকা প্রতিক দিলে বিজয় সুনিশ্চিত।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে নিজামউদ্দিন থাঁন নিলুকেই আগামী সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হবার পর নড়াইলের রাজনীতিকে যেভাবে সুসংগঠিত করে সাজিয়েছেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে নিজামউদ্দিন খাঁন নিলুর বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।
মোঃ নিজামউদ্দিন খাঁন নিলুর বর্ণ্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে স্কুল কমিটির ছাত্রলীগ প্রেসিডেন্ট, জেলা ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট,জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা যুবলীগের সভাপতি হয়ে নড়াইল যুবলীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক, নড়াইল পৌসভার মেয়র ও বর্তমানে টানা দুইবারের জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে গণমানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল, বিনয়ী, নিরাংকারী ও অমায়িক ব্যক্তিত্বে কারনে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন অসহায়,দুস্থসহ গণমানুষের মনের মণিকোঠায়। এলাকার মানুষের সেবার তার দরজা সব সময় খোলা থাকে। প্রতিনিয়ত সকাল থেকেই সাধারন মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে তার বাড়ির আঙ্গিনা।থাকে সবার জন্য মিষ্টিমুখসহ আপ্যায়নের ব্যবস্থা। যেটা নড়াইলে রাজনীতিক সংস্কৃতিতে এক অনন্য ঘটনা। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও আগতদের সাথে কথা বলেন একান্তকরে চেষ্টা করেন মানুষের সেবা দেওয়ার। আর এমন সদব্যবহার ও সৌজন্যতায় চাওয়া-না পাওয়ার কষ্ট ভুলে মুগ্ধ সাধারন মানুষ।সাধারন মানুষের চাওয়া এমন একজন মানুষকে আগামীতে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই তারা।
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন,নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন খাঁন নিলু হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়। কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্যমান। এলাকাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায়। তাই তার প্রতি এলাকার সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী তাকে এমপি হিসেবে পেতে চায়।
সদর উপজেলার তুলারাম ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ টিপু সুলতান বলেন, নিজামউদ্দিন খান নিলু একজন পরিপুর্ণ রাজনীতিবিদ।তিনি এমনই একজন নেতা যার নিজের পরিবার থেকে জনগণ ও রাজনীতিতে বেশি সময় ব্যয় করেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সবসময়েই কাছে পায়। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই এমপি হিসেবে পেতে চায়। তিনি আরো বলেন একজন যোগ্যনেতা হিসেবে জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সম্পৃক্ততা। তিনি একজন ন্যায় বিচারক।যে কারণে সারা নড়াইল জুড়ে নিজামউদ্দিন খাঁন নিলুর রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এ প্রসঙ্গে নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো:নিজামউদ্দিন নিলু বলেন, উপজেলার রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি রোধ ও দারিদ্রমুক্ত করার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। এছাড়াও অসহায়-দুঃস্থ মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুদান ও ভাতা যাতে প্রকৃত হকদারদের হাতে পৌঁছানো যায় সেই লক্ষ্যে সততার সঙ্গে কাজ করছি। সে লক্ষে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে লড়তে চাই। তবে ২০০১সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা নড়াইলের দুটি আসনে নির্বাচন করেছিলেন এবং এখনো তিনি বলেন, নড়াইলের দুটি আসন আমার আমি হলাম এমপি, এখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবেন আমরা তার সঙ্গেই থাকব।তবে মাঠের নেতাকর্মীর প্রত্যাশা যারা দূদিনে অবদান রেখেছে, এখানে যারা সারাজীবন রাজনীতি করছে ত্যাগী তাদের নেতৃত্বে আসা উচিৎ।