রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় চলন্ত ফেরিতে ছিনতাইকারী সন্দেহে যাত্রীদের হাতে মারপিটে সময় বাধন মোল্লা (৩০) নামে এক যুবক প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেয়।পরে খবর পেয়ে ট্রলার নিয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
চলন্ত ফেনী থেকে লাফ দেওয়া ওই বাধন মোল্লা বরগুনা জেলার তালতলি উপজেলার তালুকদার পাড়ার মালেক মোল্লার ছেলে।
উদ্ধারকারী মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় আমি আমার মাছের আড়তে ছিলাম। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে খবর পাই যে, ৬ নম্বর ফেরি ঘাটের কাছে এক ব্যক্তি ফেরি থেকে পড়ে নদীতে ডুবে যাচ্ছে। এ সময় আমি একটি ট্রলার নিয়ে নদীতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জে এম সিরাজুল কবির জানান, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল ফেরি ‘ভাষাশহিদ বরকত’। কিছুদূর যাওয়ার পর ফেরিতে থাকা ওই যুবককে ছিনতাইকারী সন্দেহে মারধর করেন যাত্রীরা। এ সময় তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভাসতে ভাসতে ৬ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে চলে আসেন।
এ খবর পেয়ে ট্রলার নিয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা। বর্তমানে ওই যুবক দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছেন। তিনি সুস্থ আছেন। তাকে ঘটনাটি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।