সেপ্টেম্বরেই ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাবে পর্যটকবাহী স্বপ্নের ট্রেন। এতে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অগ্রযাত্রায় যুক্ত হবে আরেকটি অর্জন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। ১৮ হাজার কোটি টাকার অগ্রাধিকার প্রকল্পটি চালু হলে আমূল পরিবর্তন ঘটবে এ অঞ্চলের যোগাযোগ, পর্যটন ও অর্থনীতিতে।
সরকারের অগ্রযাত্রা, সক্ষমতা ও গৌরবের আরেক প্রতীক স্বপ্নের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন। ফলে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পর্যটন খাত বিকাশের পাশাপাশি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে।
পর্যটকবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য এরই মধ্যে কক্সবাজার থেকে দোহাজারি পর্যন্ত একশো কিলোমিটারে প্রায় বসে গেছে ডুয়েল গেজের রেললাইন। এ অংশের অধিকাংশ স্টেশনের কাজ শেষ। এখন শুধু সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিছু কাজ বাকি আছে সেগুলো দ্রুত হয়ে যাবে। তবে কিছুটা অপূর্ণতা আছে দোহাজারি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার কাজের। শঙ্খ নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতুর ও দোহজারি স্টেশনের প্রায় শেষ কাজও। চলছে পুরনো রেললাইনের সংস্কার।’
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, শতভাগ কাজ শেষ হওয়া প্রয়োজন নেই। ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন করা হবে। ৯টি স্টেশনের মধ্যে অধিকাংশ শেষের পথে।
কিন্তু পুরো প্রকল্পে কিছুটা বেগ পেতে হবে চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশ মুখ শতবছরের ঝুঁকিপূর্ণ কালুরঘাট সেতুতে এসে। জরাজীর্ণ হওয়ায় একশো কিলোমিটার অত্যাধুনিক গতির ট্রেন চলবে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারে।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন ট্রেন চালু হলে জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ প্রকল্প।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এ সেতু।
এডিবি ও সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার কোটি টাকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ, ট্রান্স এশিয়া রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ এটি।