ক্যারিয়ারের প্রায় পুরটা স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনাতেই কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি। স্পেনের মতোই আর্জেন্টিনার মানুষজনও কথা বলেন স্প্যানিশ ভাষায়। তাই ভাষা নিয়ে কখনোই বিড়ম্বনায় পড়েননি তিনি। কিন্তু পিএসজিতে যোগ দিয়ে প্রথমবারের মতো ভাষাগত সমস্যায় পড়েন মেসি। ফ্রান্সে মেসির মন না বসার অন্যতম কারণ সেখানকার ভাষাও। তাই ইংলিশ না জানায় যুক্তরাষ্ট্রে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবেন বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা – তা নিয়ে একটা শঙ্কা ছিলই।
স্পেনের উপনিবেশ থাকায় আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাও স্প্যানিশ। তাই বার্সেলোনায় মেসিকে ভাষা নিয়ে কখনোই ভাষা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়নি। কিন্তু অভিবাসী অধ্যুষিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ভাষা ইংলিশ হওয়ায় ভাষাগত সমস্যায় পড়তে হতে পারে মেসিকে। তাই নতুন ক্লাবে গিয়ে ইংলিশ শিখছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। একটু আধটু বলার চেষ্টাও করছেন তিনি।
তবে কোনো পেশাদার শিক্ষকের কাছে ইংলিশ শিখছেন না তিনি। সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ীকে ইংলিশ শেখানোর দায়িত্বটা নিয়েছেন তারই ক্লাব সতীর্থ রব টেলর।
স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টেলর বলেন, ‘আমি স্প্যানিশ শিখছি আর ও (মেসি) ইংরেজি শিখছে। যদিও ইংরেজিতে এখনও ততটা অভ্যস্ত হননি মেসি। কিন্তু মাঠে নেমে বোঝাপড়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ফুটবলের ভাষা সবাই বোঝে। আর তার মাধ্যমে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। একই ভাষায় কথা বলার দরকার পড়ে না সবসময়ে। একসঙ্গে ভালো খেলে গেলেই হয়। মেসি আমাকে ইংরেজিতে দু-চারটে কথা বলেছে। আমার মনে হয় ও ভালোই ইংরেজি বলতে পারবে। আগামী দিনে মেসিকে ইংরেজিতে সাক্ষাৎকার দিতে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’
সারাজীবন যে ফুটবলারের খেলা টিভিতে বা স্টেডিয়ামে বসে দেখে এসেছেন, তাকে সতীর্থ হিসেবে পেয়ে দারুণ খুশি টেলর। ফিনল্যান্ডের এই তরুণ মিডফিল্ডারের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না মেসিকে সতীর্থ হিসেবে পাওয়ার বিষয়টি।
টেলর বলেন, ‘সারাজীবন তাকে বড় বড় ক্লাবের হয়ে খেলতে দেখেছি। এখন একই ক্লাবে আমরা সতীর্থ। এটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অনুশীলনে বা মাঠে তার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি।’
চাপমুক্ত থেকে ফুটবলকে উপভোগ করতেই ইউরোপের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি না করে যুক্তরাষ্ট্রে পা বাড়িয়েছেন মেসি। সৌদি ক্লাবের তাক লাগানো চুক্তিও ঠেলে দিয়েছেন অবলীলায়। আর ইন্টার মায়ামির জার্সি গায়ে চড়াতেই যেন ফিরে এসেছেন আগের সেই মেসি। যিনি মাঠে সুন্দরতম ফুল ফোটাতে জানেন। মায়ামির জার্সিতে ৩ ম্যাচ খেলেই ৫ গোল করে ফেলেছেন তিনি। সবশেষ লিগ কাপের ম্যাচে অরল্যান্ডো সিটিকে ৩-১ গোলে হারানোর পথে করেছেন জোড়া গোল।