যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ সরকার ‘রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত’ বিচারের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৫০০ বছরের বেশি সময়ের জন্য জেলে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। এমন অভিযোগ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই।
আমেরিকানরা অত্যাচারের কাছে ‘কখনো আত্মসমর্পণ করবে না’ তা প্রমাণ করার জন্য প্রচারাভিযানের অনুদান চেয়ে বুধবার (০২ আগস্ট) ট্রাম্পের পাঠানো ই-মেইলে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খবর আরটি’র।
ট্রাম্পের তহবিল সংগ্রহের ওই ই-মেইল প্রকাশ করেছে কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম। সেখানে ট্রাম্প বলেছেন, ‘বাইডেনের দুর্নীতিগ্রস্ত বিচার বিভাগ আমাকে আবারও বেআইনিভাবে অভিযুক্ত করেছে। প্রতিবেদনগুলো ইঙ্গিত করে যে, আমি তাদের শিকারে পরিণত হয়ে সম্মিলিতভাবে ৫৬১ বছর কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারি।’
ওই মেইলে ট্রাম্প আরও বলেন,
আপনাকে এতবছরের জন্য জেলে পাঠানোর চেষ্টা করে কেবল একটি বার্তাই কেউ দিতে পারে, আর তা হলো ভয়। ভয় দেয়া যে, আপনি যদি নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন যার কাছে আপনার গুরুত্ব রয়েছে; তাহলে আপনিও ওয়াশিংটনের বর্তমান মার্কসবাদী শাসকের হয়রানির শিকার হবেন।
এদিকে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে অভিযোগ দাখিলকে অধিকাংশ রিপাবলিকান দেখছেন ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে। পাশাপাশি মার্কিন বিচার ব্যবস্থাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন বলেও দাবি তাদের।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ডিস্ট্রিক্ট আদালতের গ্রান্ড জুরির সদস্যরা তাদের তদন্তের আলোকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের পর মার্কিন ক্যাপিটল হিলে হামলায় সমর্থকদের উসকে দেয়া, ফলাফলে হস্তক্ষেপের চেষ্টাসহ মোট চারটি অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।