সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে অভিযোগ দাখিলকে অধিকাংশ রিপাবলিকান দেখছেন ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে। পাশাপাশি মার্কিন বিচার ব্যবস্থাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন বলেও দাবি তাদের।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতে বিচারকাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও, অধিকাংশ রিপাবলিকান দাঁড়িয়েছেন ট্রাম্পের পাশে।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ডিস্ট্রিক্ট আদালতের গ্রান্ড জুরির সদস্যরা তাদের তদন্তের আলোকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের পর মার্কিন ক্যাপিটল হিলে হামলায় সমর্থকদের উসকে দেয়া, ফলাফলে হস্তক্ষেপের চেষ্টাসহ মোট চারটি অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক রানিংমেট মাইক পেন্স সমালোচনা করে বলেন, দেশের স্বার্থ এবং সংবিধান ট্রাম্পের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর হাচিনসনও।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে বিচার শুরু হলো। এটা মার্কিন ইতিহাসের আরেকটি কালোদিন। তবে, ট্রাম্পের সমালোচনাকারী দুজনের কেউই আগামী ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠেয় রিপাবলিকান দলের প্রার্থীদের বিতর্কে অংশ নেয়ার প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে পারেননি।
যদিও আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্প সমর্থন পাচ্ছেন বেশিরভাগ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর। বর্তমান মার্কিন হাউস স্পিকার ক্যাভিন ম্যাকার্থি অভিযোগ করেন, জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের ব্যবসায়িক অনিয়মের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ট্রাম্পকে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে।
রিপাবলিকান দলে ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডি স্যান্টিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু করায় মার্কিন বিচার ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেছেন। আর সিনেটর টিম স্কট বলেছেন, প্রেসিডেন্টের ছেলে এবং ট্রাম্পের ক্ষেত্রে মার্কিন বিচার ব্যবস্থার দুটি ভিন্ন চেহারা দেখতে পাচ্ছেন তিনি। আর ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য ট্রাম্প দায়ী নয় বলে মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান দলের আরেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাসোয়ামি।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি আইনি জালে জড়িয়ে যাচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে শঙ্কা রয়েছে তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে। তবে আইনবিদরা বলছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আইনি মারপ্যাচে হয়তো উৎরে যাবেন ট্রাম্প।