Homeখেলা'স্কার্ট পরা পেলের' স্বপ্ন ভেঙে বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিলের বিদায়

‘স্কার্ট পরা পেলের’ স্বপ্ন ভেঙে বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিলের বিদায়

নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। তাদের দেখাদেখি একই দিনে বিদায় নিলো লাতিন জায়ান্ট ব্রাজিলও। জ্যামাইকার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই খালিহাতে ফিরতে হচ্ছে মার্তাদের।

বুধবার (২ আগস্ট) মেলবোর্নে নারী বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জ্যামাইকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে ফেবারিট ব্রাজিল। গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করায় বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে লাতিন জায়ান্টদের। সেই সঙ্গে অপূর্ণ থেকে গেল সর্বকালের সেরা নারী ফুটবলার মার্তার বিশ্বকাপ জিতে বিদায় নেওয়ার স্বপ্ন।

১৯৯৫ সালের পর থেকে প্রতিটি বিশ্বকাপের কমপক্ষে নকআউট পর্বে খেলা ব্রাজিল মেলবোর্নের রেক্টাঙ্গুলার স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছিল বাঁচামরার ম্যাচ। প্রতিপক্ষ মাত্রই দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে আসা জ্যামাইকা। তাদের হারিয়ে তাই নকআউট পর্বে ব্রাজিলের জায়গা করে নেওয়াটা এক প্রকার নিশ্চিতই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিলো ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশটি। ব্রাজিলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিলো বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে।

দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে আসা জ্যামাইকা অবশ্য চমক দেখিয়েছে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই। শক্তিশালী ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র করে তারা বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো পয়েন্ট অর্জন করে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে পানামাকে ১-০ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্বের পথে এক পা বাড়ায় তারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের। ব্রাজিলের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে সেই স্বপ্ন পূরণ করল পিয়া সুন্ধাগের দল। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল জ্যামাইকা।

অন্যদিকে মেয়েদের ফুটবলে একবার রানার্সআপ ও একবার তৃতীয় হওয়া ব্রাজিল প্রথম ম্যাচে পানামাকে ৪-০ গোলে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে যায়। ফলে তৃতীয় ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না তাদের সামনে।

ব্রাজিলের হারে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নটা অপূর্ণই রয়ে গেল ‘স্কার্ট পরা পেলে’ খ্যাত কিংবদন্তি মার্তার। ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা ৩৭ বছর বয়সী মার্তার পক্ষে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার আশা করাটা বাড়াবাড়িই। তাই ২০০৭ সালে জার্মানির কাছে ফাইনাল হেরে রানার্সআপ হওয়াটাই তার সেরা অর্জন হয়ে থাকল।

Exit mobile version