প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন রংপুরে। মহাসমাবেশে যোগ দিতে দুপুর সোয়া ১টার দিকে রংপুরে পৌঁছান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চলছে সাজ সাজ রব। রং-বেরংয়ের তোরণে সেজে ওঠেছে বিভিন্ন এলাকা। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে মহানগরী। এদিন জনসভায় যোগ দেয়ার পাশাপাশি ২৭টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ৫টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তার এ সফরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বার্তা আশা করছেন উত্তরের মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। বৈদ্যুতিক পিলার, ল্যাম্প পোস্ট, দেয়াল, গাছ – কোথাও ফাঁকা নেই। ধুয়ে-মুছে চকচক করা হয়েছে রাস্তাঘাট, রোড ডিভাইডার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র পাঁচ মাসেরও কম সময় বাকি। এরই মধ্যে রংপুর মহানগরীর এ মহাসমাবেশকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, গেলো সাড়ে ১৪ বছরে রংপুরকে বিভাগ ঘোষণাসহ একগুচ্ছ পরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রমে পুরো এলাকায় এখন দৃশ্যমান রূপান্তরের চিত্র। উত্তর জনপদের একেবারে প্রান্ত সীমানার এ বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে এখন পরিস্থিতি এতোটাই বদলে গেছে যে, সর্বস্তরের জনগণই সুফল পাচ্ছেন পরিকল্পিত উন্নয়নের।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ এখানে শুধু প্রকল্পই উদ্বোধন করবেন না, বেলা ৩টায় জেলা স্কুল মাঠে আয়োজিত বিভাগীয় জনসমাবেশে ভাষণও দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় এক যুগ পর রংপুরে আসা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে একনজর দেখতে অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে স্কুল মাঠে। অনেকের আশা, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ শিল্পায়নের নতুন ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী৷