পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে অভ্যুত্থান এবং ফরাসি দূতাবাসে হামলার জেরে দেশটি থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ফ্রান্স। নাইজার থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিরাপদে সরে যেতে সহায়তার কথাও জানিয়েছে ম্যাঁক্রো প্রশাসন।
গেল বুধবার (২৬ জুলাই) পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড বাহিনী দেশটির রাজধানী নিয়ামে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রেসিডেন্ট বাজোমকে বন্দি করে অভ্যুত্থান ঘোষণা করে। পরে দেশটির সামরিক বাহিনী সেই অভ্যুত্থানে সমর্থন জানায়। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় আফ্রিকান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ এবং ফ্রান্সসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানোয় রোববার (৩০ জুলাই) নাইজারের রাজধানীতে ফরাসি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন অনেকে। ফরাসি সরকারবিরোধী স্লোগানও দেন কেউ কেউ। একপর্যায়ে দূতাবাস চত্বরে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। ওই ঘটনার জেরে দেশটি থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ফ্রান্স।
এক বিবৃতিতে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) থেকেই নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। ফরাসিদের পাশাপাশি ইউরোপের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিরাপদে সরে যেতে সহায়তার কথাও জানিয়েছে ম্যাঁক্রো প্রশাসন। নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ হওয়ার কারণে এমন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যম।
এদিকে নাইজারের সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসো। এরইমধ্যে দেশ দুটির সামরিক সরকার হুঁশিয়ার করে জানিয়েছে, নাইজারে বাইরের কোনো পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে তা হবে যুদ্ধের শামিল।