মণিপুরের পর এবার জাতিগত সহিংসতায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্য। ধর্মীয় শোভাযাত্রা ঘিরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন ৩০ জন।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (৩১ জুলাই) রাজ্যটির নুহু জেলায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। মাঝপথে তাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে বজরং দলের সমর্থকরা, শুরু হয় সংঘাত। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। জীবন বাঁচাতে আশপাশের ধর্মীয় স্থানগুলোতে আশ্রয় নেয় প্রায় তিন হাজার সাধারণ মানুষ।
কয়েক ঘণ্টা ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে চলে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। তবে ব্যর্থ হয় তারা। দিনব্যাপী সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
পরে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান থেকে আশ্রয় নেয়াদের উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুগ্রামে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। একইসঙ্গে ওই এলাকায় বড় ধরনের যেকোনো জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সেবা।
রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আগামী ৮ আগস্ট লোকসভায় বিতর্ক হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১০ আগস্ট বিতর্কের জবাব দেবেন বলে জানা গেছে।