লিভারপুল সতীর্থ জর্ডান হেন্ডারসনের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্যাবিনিয়ো। সাম্প্রতিক গুঞ্জন তাতে সত্যে পরিণত হলো। লিভারপুল ছেড়ে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল ইত্তিহাদে যোগ দিলেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
ফ্যাবিনিয়ো যে সৌদি প্রো লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আল ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন এমন খবর সংবাদমাধ্যমে আসছিল বেশ কিছুদিন থেকেই। লিভারপুলের প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির দল দেখেই সে খবরের সত্যতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। অলরেডদের জার্মানি ও সৌদি আরব সফরের দলে ছিলেন না ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আল ইত্তিহাদে যোগ দিলেন তিনি।
সৌদি লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এর আগে দলে ভিড়িয়েছে করিম বেনজেমা ও এনগোলো কান্তেকেও। এবার তাদের সতীর্থ হয়ে এলেন ফ্যাবিনিয়ো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এই মিডফিল্ডারকে দলে নিতে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে হয়েছে আল ইত্তিহাদকে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৫৯ কোটি ৪২ লাখ টাকারও বেশি।
২০১২-১৩ মৌসুমে রিও আভে থেকে ধারে রিয়াল মাদ্রিদে এসে যুবদল কাস্তিয়ার হয়ে খেলেন ফ্যাবিনিয়ো। তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তাদের মূল দলেও এক ম্যাচ খেলায় এই ব্রাজিলিয়ানকে। এরপর ২০১৩-১৫ পর্যন্ত ধারে মোনাকোতে খেলেন ফ্যাবিনিয়ো। ২০১৫ সালে তাকে লিগ ওয়ানের ক্লাবটি স্থায়ীভাবে দলে ভেড়ায়। সেখানে ২৩৩ ম্যাচ খেলে ৩১ গোল ও ২১টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি।
২০১৮ সালে ৪৩ মিলিয়ন পাউন্ডে ফ্যাবিনিয়োকে দলে ভেড়ায় লিভারপুল, যা তাকে পরিণত করে ব্রাজিলের ইতিহাসে নবম দামি ফুটবলারে। লিভারপুলের জার্সিতে পাঁচ বছরে ২১৯ ম্যাচে ১১ গোল ও ১০টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন সম্ভাব্য সকল শিরোপা। লিভারপুলের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, কমিউনিটি শিল্ড, লিগ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন ফ্যাবিনিয়ো।
২০১৫ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে অভিষেক হয় ফ্যাবিনিয়োর। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকায় রানার্সআপ হওয়া দলেও ছিলেন ফ্যাবিনিয়ো।
ফ্যাবিনিয়ো ছাড়াও চলতি দলবদলে লিভারপুল অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন সৌদি ক্লাব আল ইত্তিফাকে যোগ দিয়েছেন।