মাঠের খেলায় গত এক দশক ধরে সাফল্যের দেখা পায়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে তাতে ক্লাবটির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। তেমনই ঋণের বোঝা বাড়লেও আয়ের দিক থেকে বাকি ক্লাবগুলোকে ঠিকই টেক্কা দিচ্ছে রেড ডেভিলরা। এবার তাক লাগানো চুক্তি করে আরও একবার চমকে দিয়েছে ক্লাবটি। ক্রীড়া সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে খেলার সরঞ্জাম নিয়ে সবচেয়ে বরট চুক্তি করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
অ্যাডিডাসের সঙ্গে ইউনাইটেডের আগের ১০ বছরের ‘কিট’ চুক্তিটি ছিল ৭৫ কোটি পাউন্ডের। সেই চুক্তিই আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করেছে ক্লাবটি। ৯০ কোটি পাউন্ডে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে ‘কিট’ বিষয়ক চুক্তির রেকর্ড গড়েছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) নিজেদের ওয়েবসাইটে এই খবর জানিয়েছে ক্লাবটি।
কিট প্রস্তুতকারী সংস্থাটির সঙ্গে আগের চুক্তিটি সই করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। নতুন করে নবায়নের পর ২০৩৫ সালের জুন পর্যন্ত এই অর্থ পাবে ইউনাইটেড। বিবিসি জানিয়েছে, মৌসুমপ্রতি আয়ের হিসেবে এটাই প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বড় চুক্তি। এর আগে ২০১৬ সালে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকির সঙ্গে ৯০ কোটি পাউন্ডের চুক্তি করেছিল চেলসি। তবে সে চুক্তির মেয়াদ ১৫ বছর। ২০১৭ সাল থেকে সেই চুক্তি কার্যকর হয়েছে।
চেলসি সেই চুক্তি থেকে মৌসুমপ্রতি আয় করে ৬ কোটি পাউন্ড। অন্যদিকে ইউনাইটেড এই চুক্তি থেকে মৌসুমপ্রতি আয় করবে ৯ কোটি পাউন্ড।
অ্যাডিডাসের সঙ্গে ইউনাইটেডের সম্পর্ক বেশ পুরনো। ১৯৮০ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি ছিল ইউনাইটেডের। কিন্তু এরপর তাদের হটিয়ে গাঁটছড়া বাঁধে নাইকি। ২৩ বছর পর জার্মানির প্রতিষ্ঠানটি নাইকিকে হটিয়ে ৭৫ কোটি পাউন্ডের চুক্তিটি করেছিল। সেই চুক্তিতেও রেকর্ড গড়েছিল ইউনাইটেড। এবার আরও ১০ বছরের জন্য বাড়ল সেই চুক্তি। ক্লাবের একটি সূত্রের মতে আগামী এক দশকে এটাই হতে যাচ্ছে ক্লাবটির আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস।
বিবিসি জানিয়েছে, অ্যাডিডাসের সঙ্গে চুক্তিতে থাকা একটি শর্তের কারণে এই আয় অবশ্য বছরে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। ইউনাইটেড কত টাকা পাবে তা নির্ভর করছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ওপর। টানা দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে না পারলে নতুন চুক্তিতে বছরে ৩০ শতাংশ টাকা কম পাবে ইউনাইটেড।