Homeরাজনীতিকূটনীতিকদের কাজ ভিয়েনা কনভেশন পরিপন্থি, স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে: কাদের

কূটনীতিকদের কাজ ভিয়েনা কনভেশন পরিপন্থি, স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে: কাদের

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা যে ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থি, তা তাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণায় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কীভাবে দেখছেন, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বা পৃথিবীর যেকোনো দেশে তাদের কার্যক্রমের একটি সীমানা আছে—ভিয়েনা কনভেনশন আছে। এটি মেনে তারা যদি চলেন, তাহলে আমাদের তো বলার কিছু নেই। আমরা গিয়ে তাদের সঙ্গে মারামারি করবো? তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আপনাদের তৎপরতা ভিয়েনা কনভেনশনের বিরুদ্ধে। এ কথা বলার তো অধিকার আমাদের আছে। সেটা আমরা বলেছি।

আমরা কী তাদের সঙ্গেও সংঘাত করবো- প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, আমরা যুক্তি দিয়ে তাদের বলেছি—যুক্তিরও একটা বিষয় আছে। তারা যে কথাগুলো বলে আসছেন, তারা নিজেরাও যদি সেই কথার বিরোধিতা করেন—তা তো স্ববিরোধী। আমরা তাদের স্মরণ করে দেব, আপনারা সঠিক কাজ করছেন না, এটি কাজের সীমানার পরিপন্থি।

রাজনীতি সহিংসতার দিকে যাচ্ছে, এটির দায় কী কেবল বিএনপিরই, নাকি সরকারেরও আছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,

বিশেষ বিশেষ কারণে বিশেষ বিশেষ দল বা ব্যক্তির ওপর পড়ে। এটি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করলে অনেক কথাই আসে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকানদের উদ্দেশে আমি একটি কথা বলবো—আমরা সমাবেশ করলাম বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে, তারা করলেন নয়াপল্টনে। ঠিক পরের দিন ঢাকার প্রবেশ পথে তারা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছেন। এটি কী ধরনের কর্মসূচি, আমরা তো কখনো এ ধরনের কোনো কর্মসূচি নিইনি।

দেশের প্রধান প্রধান মহাসড়কগুলো অবরোধ করবে—ঢাকা-চট্টগ্রাম যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, ঢাকা-উত্তরবঙ্গের সংযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এটি কেন? এটি কোন রাজনীতি, কোন গণতন্ত্র? নির্বাচন সামনে রেখে এমন কর্মসূচি যারা নেন, তাদের ওপরই ভিসা নীতি কার্যকর করা উচিত। এটি পরিষ্কারভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা, যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ করে যদি কেউ ভিসা নীতি প্রয়োগ করেন, তাহলে তো তা তাদের ওপর হওয়া উচিত। তাদের উদ্দেশ্য একটা লাশ ফেলা, লন্ডন থেকে তারেক রহমান ভিডিওতে বলেছেন, একটা লাশ ফেললে দশটা ফেলতে হবে। কী ভয়াল তাদের অ্যাটিটিউড!

পুলিশের ওপর যে হামলা হয়েছে, পুলিশ তো বাধা দেবেই। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম প্রবেশ পথের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ চুপ করে থাকবে? এটি পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা করা—চলাচল উন্মুক্ত রাখা।

রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে সরকারের অবস্থান কী জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার সরকারের পথেই আছে। সরকারের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা। নির্বাচনের আগেও, নির্বাচনের পরেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।

পারছেন না তো, প্রশ্নে তিনি বলেন, কেন পারবো না, গতকাল যে ঘটনা ঘটে গেল। অ্যাপায়নের পরে তাদের কর্মীদের অবস্থা কী? খবর নেই। সেই মুড আছে? সবাইকে অতিরিক্ত জামাকাপড় নিয়ে ঢাকায় আসতে বলেছে তারা। বেচারারা জামাকাপড় নিয়ে এসে থাকতে পারলো না, ফিরে গেল। টাকাও শেষ—দুই হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছিল।

তবে আওয়ামী লীগ কোনো উত্তেজনায় যাবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, উত্তেজিত হলে তো আমাদের চলবে না। আমরা সরকারি দল। তারা যেকোনো মূল্যে যেকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এটি তাদের টার্গেট। আমাদের তো সেই টার্গেট নেই। নির্বাচনে জনগণ চাইলে আবারও ক্ষমতায় থাকবো, জনগণ না চাইলে থাকবো না নিয়মানুযায়ী।

বিএনপি কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগও দেয়। এখন আওয়ামী লীগ সেই জায়গা থেকে সরে এসেছে। এটি অবস্থার পরিবর্তন কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন,

নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত আছে। তবে ধরন পাল্টাবে। যেমন, কাল থেকে শোক দিবস। এ মাসের কর্মসূচি ভিন্ন হবে। এ মাসের গাম্ভীর্য বজায় রেখে কর্মসূচি রাখতে হবে।

নির্বাচন পর্যন্ত কোনো ছাড়াছাড়ি নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মাঠে আছি, সতর্ক অবস্থানে। আজকেও সতর্ক অবস্থানে আছি।

Exit mobile version