সামরিক অভ্যুত্থানের পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের জান্তা প্রশাসন। দেশটিতে সব ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
শনিবার (২৯ জুলাই) দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে জানান, নাইজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব ধরনের সহযোগিতামূলক তৎপরতা এবং পাশাপাশি দেশটির জন্য বাজেট সহায়তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হলো, যা যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর হবে।
ইইউয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নাইজারে শাসন, শিক্ষা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য সংস্থাটি ৫৫৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তার কথা ছিল।
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়ন নাইজারে ক্ষমতা গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার পাশাপাশি দেশটিতে সাংবিধানিক ব্যবস্থা পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) এইউয়ের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ এক বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নাইজারের পদচ্যুত নেতার প্রতি ‘নিরন্তর সমর্থনের’ আশ্বাস দেন এবং তাকে যারা আটকে রেখেছে তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দেশটিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরায় স্থাপন না হলে শত শত মিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইসলামি সশস্ত্রগোষ্ঠীকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিলেন নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম।
২৬ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান আব্দুর রহমান চিয়ানির নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুর্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় পশ্চিমা সমর্থিত প্রেসিডেন্ট বাজুমকে। পরে ২৮ জুলাই আব্দুর রহমান নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা দেন।