যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়া কি যুদ্ধে জড়াবে?- এমন প্রশ্ন ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকেই। নানান ঘটনার প্রেক্ষাপটে সেই আশঙ্কা পুরোপুরি উড়িয়েও দেয়া যাচ্ছে না। এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক মন্তব্যে নতুন করে সামনে এসেছে বিষয়টি।
রাশিয়ান এবং ন্যাটো সামরিক বাহিনীর মধ্যে ‘সম্ভাব্য সরাসরি সংঘর্ষের’ বিষয়ে শনিবার (২৯ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেছেন, ‘রাশিয়া যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সর্বদা প্রস্তুত।’
মূলত, সম্প্রতি সিরিয়ায় রুশ এবং মার্কিন বিমানের মধ্যে ‘প্রায় সংঘর্ষের’ এক ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। খবর আরটি’র।
পুতিন বলেন, সিরিয়ার সাম্প্রতিক ওই ঘটনার পর উভয় পক্ষের সামরিক কর্মকর্তারাই ‘যেকোনো সংকটময় পরিস্থিতি’ এড়ানোর বিষয়ে কথা বলেছেন। এর থেকে বোঝা যায়, কোনো পক্ষই সংঘাত চায় না। তবে ‘কেউ যদি তা (সংঘাত) চায় এবং সেটি যদি রাশিয়া না হয়; তাহলে আমরা প্রস্তুত’।
সিরিয়ায় রাশিয়ান পুনর্মিলনকেন্দ্রের প্রধান অ্যাডমিরাল ওলেগ গুরিনভ বলেছেন, ২০২৩ সালের শুরু থেকে আমাদের বিমান বাহিনীর সঙ্গে ন্যাটোর মোট ২৩টি ‘বিপজ্জনক’ ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে জুলাই মাসে।
তিনি জানান, পশ্চিমা এয়ারক্রাফট-টার্গেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ২৩টির মধ্যে ১১টি ক্ষেত্রে রাশিয়ান পাইলটদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। কেবল এমন পরিস্থিতিতেই স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রুশ বিমানগুলো থেকে ডিকয় ফ্লেয়ার (আগুনের ফুলকি) ছোড়া হয়েছে।
রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সম্ভাব্য সরাসরি সংঘর্ষের ঝুঁকি সম্পর্কে আগে থেকেই ওয়াশিংটন এবং তার মিত্রদের সতর্ক করে আসছে মস্কো, বিশেষ করে ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের মধ্যে।
ক্রেমলিন বলছে, বারবার সতর্ক করা হলেও কিয়েভকে অস্ত্র সহায়তা দেয়া অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমারা, যা কেবল শত্রুতা বাড়িয়েছে এবং চলমান সংকটকে আরও গভীর করছে।