ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে রাতের ভোট করতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হতে হবে। ২০১৪ ও ১৮ সালে আমলা ও প্রশাসনকে ঘুষ দিয়ে তাদের অপশক্তি ব্যবহার করে রাতের ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল। এ কারণেই কোনও প্রশাসন-আমলা এমনকি একজন ওসিও সরকারের এমপিদের কথা শোনে না। এমপিদের যেন নাকে খত দিয়ে ঘোরায়।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকালে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশনের স্বাধীনতা স্কয়ার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে তিন এ কথা বলেন। সংসদ ভেঙে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রেজাউল করিম বলেন, ‘সাম্যতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষার জন্য পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর এখনও সাম্যতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার কোনোটাই দেশের মানুষ পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘সাম্যতা মানে সবার সমান অধিকার। কিন্তু দেশে শুধু এখন আওয়ামী লীগের অধিকার রয়েছে। আওয়ামী লীগ করলে আপনার চাকরি হবে, বাসস্থান থাকবে ও চিকিৎসা সেবাসহ সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। আর অন্য দলের মানুষ হলে কোনোটাই পাবেন না। মানবিক মর্যাদা মানে সবার মর্যাদা থাকবে। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগ যারা করে শুধু তাদেরই মর্যাদা আছে। অন্য কারও নেই।’
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘অন্যদলের যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদেরও প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। সামাজিক ন্যায়বিচারও দেশে নেই। আওয়ামী লীগের কেউ ধর্ষণ, দুর্নীতি ও হত্যা মামলার আসামি হলেও তারা খোলা আকাশের নিচে বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। কিন্তু অন্য দলের কেউ অপরাধ না করলেও তাদের জেলে থাকতে হচ্ছে। তাই পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যেমন যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছিল- তেমনি আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
তিনি দাবি করেন, ‘বিদেশে যত টাকা পাচার হয়েছে, দেশে যত দুর্নীতি হয়েছে তার অধিকাংশের সঙ্গেই আমলারা জড়িত। তাই আমলারাও চাচ্ছে, তাদের যেন কোনও বিচার না হয়- এ জন্য রাতের ভোটে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে ষড়যন্ত্র করছে। এগুলো প্রতিরোধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি মুহিবুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কাজিপুর উপজেলা সভাপতি হাফেজ আবু জাফর আহমেদ, সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি গোলাম উসমানী, উল্লাপাড়ার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মানসুরুল হক, বেলকুচির সাধারণ সম্পাদক, হাফেজ জয়নাল আবেদীন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ, ইমরান হোসাইন, মুফতি আব্দুস সামাদ, ডা. মোকলেসুর রহমান ও মঈনুল ইসলাম প্রমুখ।