প্রাক-মৌসুম ক্লাব ফ্রেন্ডলিতে চমক দেখালো ম্যানচেস্টার সিটি। বায়ার্ন মিউনিখকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা। পেপ গার্দিওলা বাহিনীর হয়ে গোল করেছেন জন জেমস ম্যাকেটি এবং আইমারিক লাপোর্তে।
যে কোনো মৌসুম শুরুর আগে সবার চোখ থাকে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে। সেখান থেকেই মোটামুটি বোঝা যায় কেমন হতে যাচ্ছে ক্লাবগুলোর পরবর্তী মৌসুমের একাদশ কিংবা লাইনআপ। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই পৃষ্ঠপোষকদের চাপে টানা খেলার ক্লান্তি এড়াতে মোটামুটি মানের দল নিয়ে লড়াইয়ে নামে দলগুলো। এখানেও হয়নি ব্যতিক্রম, জাপান ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সিটিজেনদের একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অনেক মুখ। তবে বায়ার্ন ছিল বেশ সিরিয়াস, তাই তো টমাস টুখেলের দলে ছিলেন সেরা ছন্দে থাকা ফুটবলাররাই।
দুই কোচের ফর্মেশনটাও ছিল আগের মতোই। ৪-২-৩-১ এ দল সাজান দুজনই। যদিও ম্যাচ শুরু হতে সেটা সেটা তেমন স্থায়িত্ব পায়নি। মূল দল নিয়েও সিটিজেনদের সামনে হাপিত্যেশ ছুটে যায় বায়ার্নের। হুলিয়ান আলভারেজ, ম্যাকেটি, বার্নার্ডো সিলভা, কেভাকিচ এবং গ্রিলিশদের আক্রমণগুলো আটকাতে হিমশিম খায় পাভার-উপামেকানোরা।
শেষ পর্যন্ত ২১ মিনিটে আর নিজেদের পোস্ট বাঁচাতে পারেনি মিউনিখ। জন জেমস ম্যাকেটির একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। আনন্দে ফেটে পড়ে গার্দিওলার ডাগ আউট। প্রথমার্ধে এরপর আর কোন গোল না হলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ম্যানচেস্টার সিটি।
বিরতি থেকে ফিরতেই দলের চেহারা বদলে ফেলেন পেপ গার্দিওলা। আলভারেজ, কাইল ওয়াকার, রুবেন দিয়াজ এবং ম্যাকেটিকে বদলে মাঠে নামান আর্লিং হলান্ড, ফিল ফোডেন, রদ্রি, হোয়াও ক্যানসেলো এবং আইমারিক লাপোর্তেকে। চাপ বাড়ে বাভারিয়ানদের ওপর।
এরপর গোছানো সিটিজেনদের বিপক্ষে কোনভাবেই পেরে ওঠেনি বায়ার্ন মিউনিখ। তবে এক গোলেই ম্যাচ শেষ হবে বলে ধারণা করেছিল সবাই। কিন্তু এরই মাঝে চমক দেখান বায়ার্নের ফরাসী ফরোয়ার্ড ম্যাথিস টেল। ৮১ মিনিটে দারুণ এক গোলে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। স্বস্তি ফেরে টুখেলের দলে।
ম্যাড়ম্যাড়ে ড্র মেনেই চলছিল শেষ মুহূর্তের খেলা। কিন্তু গার্দিওলার দুই সুপার সাব বদলে দেয় দৃশ্যপট। ফিল ফোডেনের অ্যাসিস্টে ৮৬ মিনিটে সিটিজেনদের আনন্দে ভাসান আইমারিক লাপোর্তে। প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে শুরু করলো ম্যানচেস্টার সিটি।