প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নে আরাজি লস্করায় এক মহিলাকে নগ্ন ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতারণায় ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে জিম্মি করে ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগে আশরাফুল ও স্বপনের বিরুদ্ধে মহিলা নিজে বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছে।
বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে জানা যায়, প্রতিবেশী নুরল আমিনের ছেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আশরাফুল ও শাহাবুদ্দিনের ছেলে হোটেল ব্যবসায়ি স্বপন মিয়া ঐ দিন রাতে বাদি আঃ বাতেনের স্ত্রী (ভিকটিম) – এর বাড়ির গেটে গিয়ে ডাকতে থাকে।
প্রতিবেশীর ছেলের পরিচিত কণ্ঠ শুনে ও বুঝতে পেরে মহিলা একাই সহজ সরল মনে বেড়িয়ে আসেন।
নারী লোভী আশরাফুল ঐ মহিলা কে এন্ড্রোয়েট মোবাইল ফোনে গোছলের সময় ধারনকৃত নগ্ন ছবি প্রদর্শন করায়, কুপ্রস্তাব দেয় এবং বলে আমাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে এই ছবি ভাইরাল করা হবে, তোমার মান সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হবে।
মহিলা তাদের কু প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিলে আশরাফুল ও স্বপন তার মুখ চিপে ধরে জিম্মি করে পার্শ্ববর্তী স্কুলের শহীদ মিনারের কাছে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়, মহিলা চিৎকার দিয়ে বাড়ির দিকে ছুটে আসা কালে তারা টানা হেচঁড়া করে, তার পরিধেয় মেক্সি ছিড়ে যায় বলে জানান মহিলা।
ধর্ষনের ছোবল থেকে রক্ষা পাওয়া ভিকটিম সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন, ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
কিছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরলে তিনি ঘটনাটি সকলকে অবগত করেন, ঢাকায় অবস্থানরত স্বামীকে মোবাইল ফোনে জানান।
ঘটনার স্বাক্ষি জাবেদ আলী, রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, ফিরোজা বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন রতন ঢালীসহ অনেকে জানান আশরাফুল ও স্বপন সত্যিকার চরিত্রহীন লম্পট, এদের চরম শাস্তি হওয়া উচিত।
অভিযুক্ত আশরাফুল ও স্বপনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি, তবে স্বপনের বাবা শাহাবুদ্দিন, চাচা আসাবুদ্দিনসহ পরিবারের লোকজন জানান স্বপনকে ঘটনার কিছুক্ষন পুর্বে আশরাফুল মোবাইল করে ডেকে নিয়ে ফাঁসিয়েছে, তারাও স্বীকার করেন বাতেনের স্ত্রী খুব ভাল পর্দাশীল এবং সহজ সরল মহিলা।
ছেলেরা ভুল বশত এমন জঘন্য কাজ করায় রাতেই ক্ষমা নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় বীরগঞ্জ থানার মামলা নম্বর-২০. তারিখ ২৪ জুলাই’২০২৩. রুজু হয়েছে।
শিবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায় কার্তিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় আমি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করি নাই।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
তদন্তকারী অফিসার এসআই মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযুক্তদেরকে একাধিকবার অভিযান চালিয়েও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তারা আত্মগোপনে রয়েছে কিন্তু অভিযান চলবে।