মণিপুরের পর এবার অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আরেক রাজ্য মেঘালয়ে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দফতর ঘেরাও করে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, তুরাকে রাজ্যের শীতকালীন রাজধানী করতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছে গারো পাহাড়ের কয়েকটি গোষ্ঠী। সোমবার যা রূপ নেয় সহিংসতায়। ঘটনার সময় তুরায় নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন কনরাড সাংমা।
মণিপুর ইস্যুতে ভারতজুড়েই চলছে উত্তেজনা। এরমধ্যেই সোমবার (২৪ জুলাই) অশান্ত হয়ে উঠে মেঘালয়। আকস্মিক মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দফতর ঘেরাও করে হামলা চালায় একদল আন্দোলনকারী। তাকে দফতরের ভেতরে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী আহত হন। তাদের দফতরের ভেতরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, তুরাকে রাজ্যের শীতকালীন রাজধানী করতে আন্দোলন করছে গারো পাহাড়ের কয়েকটি গোষ্ঠী। কয়েকদিন ধরে নাগরিক সমাজের একটি সংগঠন অনশন করে চলেছে। তবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর লক্ষ্য করে এক দল বিক্ষোভকারী পাথর ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, এদিন প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে ভবনের ভেতরে আলোচনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনশন বন্ধ করলে আগামী মাসে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাজধানী শিলং এ আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার ওই বৈঠকের মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা একটি বৈঠকে বসেছিলেন। পরে সেখানে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে বৈঠকের ভবন লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ ধরে তার দফতরে আটকে ছিলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন।’