Homeঅর্থনীতিপূরণ হয়নি তামাবিল স্থলবন্দর নির্মাণের উদ্দেশ্য

পূরণ হয়নি তামাবিল স্থলবন্দর নির্মাণের উদ্দেশ্য

বছর ছয়েক আগে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তামাবিল স্থলবন্দর নির্মাণ করা হলেও বলা চলে এটি কোনো কাজেই আসেনি। শুধুমাত্র সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সরকার এখানে রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা।

ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায় ২০১৭ সালে স্থাপন করা হয় এ স্থলবন্দর। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়, আসাম, মনিপুর ও নাগাল্যান্ডসহ অন্য কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বন্দরটি। কিন্তু আজও খালি পড়ে আছে গোটা বন্দর চত্বর।

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের তামাবিল স্থলবন্দরের পাশে কোনো নির্মাণসামগ্রী না রাখার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাইনবোর্ড আছে। কিন্তু মহাসড়কের সেই জায়গাগুলো চলে গেছে ভারত থেকে আমদানি করা পাথর ও কয়লার দখলে।

দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে তামাবিল সীমান্ত দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি হওয়ার পর ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে ২৪ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় এ স্থলবন্দরটি।

আমদানিকারকরা জানান, এ বন্দর দিয়ে কয়লা ও পাথর ছাড়া অন্য পণ্যসামগ্রী তেমন আমদানি করা হয় না। পাথর ও কয়লার ওপর দামি পণ্যের মতো রাজস্ব নির্ধারণের কারণে বন্দর ব্যবহারও সম্ভব হয় না। এমনকি কোনো পণ্য রফতানিও হয় না এ বন্দর দিয়ে।

মো. ইসমাঈল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী (আমদানি-রফতানিকারক) জানান, যে দাবি পূরণের লক্ষ্য নিয়ে বন্দরটি স্থাপন করা হয়েছিল, সেই দাবি অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে।

কয়লা, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এই স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে নৌপরিবহনমন্ত্রীসহ উচ্চমহলে দেন-দরবার করেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। ফলে সরকার এ বন্দর থেকে বিরাট অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে।’

সিলেট বিভাগের প্রথম এবং দেশের ১১তম এ স্থলবন্দরটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটি টাকা।

Exit mobile version