পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিামাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। বিগত ৪৮ ঘণ্টা ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে প্রদেশটিতে। রোববার (২৩ সোমবার) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বর্ষণে শনিবার পর্যন্ত এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নয়জনের মৃত্যুর পর প্রদেশের চিত্রাল জেলায় আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তীব্র বাতাসের সঙ্গে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিপাতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে এবং বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতি হয়। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয় এবং এতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় সেতু, রাস্তা ও গবাদিপশু ভেসে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত নয়জন মারা গেছে। যাদের মধ্যে সোয়াতে দুজন, বাটগ্রামে দুজন, মনসেরায় চারজন এবং বুনেরে একজন। এ ছাড়া আহত হয়েছে সোয়াতে তিনজন, বাটগ্রামে তিনজন এবং বুনেরে একজনসহ মোট সাতজন।
পিডিএমএ জানিয়েছে, আকস্মিক বন্যায় নয়টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৭টি বাড়ি।
ত্রাণ, পুনর্বাসন ও বন্দোবস্ত বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আপার ও লোয়ার চিত্রাল জেলার ডেপুটি কমিশনাররা তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করার অনুরোধ করেছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাদেশিক সরকার উভয় জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই জরুরি অবস্থা ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে; যাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায়।
এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া র অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ আজম খান প্রাদেশিক সরকারের ত্রাণ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন।