মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।
রাজবাড়ীর পাংশা হাইওয়ে থানার সামনে সড়কের উপর দুর্ঘটনা কবলিত দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কাজী মুর্তজা হামিম নিপুন (৫০) নামে এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন।আহত ছেলে ইমন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রোববার (২৩ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে কালুখালী উপজেলার গান্ধিমারা এলাকার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কাজী মুর্তজা হামিম নিপুন কালুখালীর রতনদিয়া রজনীকান্ত সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার বাড়ি রতনদিয়া গ্রামে।
নিহত শিক্ষকের সহকর্মী মো. নাজমুল হাসান বলেন,কাজী মুর্তজা হামিম নিপুনের ছেলে ইমন রাজবাড়ী সরকারি কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়ে। রাজবাড়ী শহরে সে তার ফুপুর বাড়িতে থাকে। রাতে ওই বাড়ি থেকে ইমনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে কালুখালীর রতনদিয়ায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন স্কুলশিক্ষক নিপুন। পথে পাংশা হাইওয়ে থানার সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের হেডলাইটের আলো তার চোখে লাগে।
এসময় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারালে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুর্ঘটনাকবলিত একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা তাকে ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সদর হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেয়ার পর সেখানকার জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার ছেলে ইমন সুস্থ রয়েছে।
পাংশা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, থানার ভেতরে জায়গা না হওয়াতে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো থানার সামনে সড়ক থেকে কিছুটা দূরে রাখা হয়। সেই গাড়িতে কেউ এসে ধাক্কা দিলে আমাদের কিছু করার থাকে না। দুর্ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের পুলিশ সদস্যরা দুজনকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠায়। তবে সেসময় কারো অবস্থাই এতটা গুরুতর ছিল না।
তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলটি থানায় রয়েছে। মরদেহটি যেহেতু ফরিদপুরে রয়েছে। সেজন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের বিষয়ে সেখানকার পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।