সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পালই হাওর থেকে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিখোঁজ জামরুল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টায় হাওরের তলদেশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির দল। জামরুল ময়মসিংহের নান্দাইল উপজেলার বারুই গ্রামের মৃত হারুন রশীদের ছেলে। তিনি পর্যটকবাহী নৌকায় তিনি বাবুর্চির কাজ করতেন।
সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান কবীর হোসেন বলেন, হাওর থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে তাহিরপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার নৌকাঘাট থেকে একটি পর্যটকবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা তাহিরপুর উপজেলার ট্যাকেরঘাট এলাকায় ভ্রমণে যাচ্ছিল। রাত ১০ টার দিকে তারা তরং গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। ওই গ্রামের পাশ দিয়ে হাওরে খুব নিচু করে পল্লী বিদ্যুতের তার টানানো। নৌকার ছইয়ের ওপরে থাকা লোকজন গতিরোধ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া থেকে রক্ষার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হলে চলন্ত নৌকটি পাটলাই নদীর তীরে থাকা একটি করচ গাছে ধাক্কা লেগে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায়। এ সময় রুবেল ও সুমনসহ তিন পর্যটক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। জামরুল হাসান (৫৫) নামে একজন নৌকা ছাদ থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাওরে পড়ে জামরুল নিখোঁজ হন। তিনি পর্যটকবাহী নৌকায় বাবুর্চির কাজ করতেন। আহতদের রাতেই শ্রীপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, হাওরের তলদেশ থেকে ডুবুরির দল নিখোঁজ জামরুলের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। রাতের অন্ধকারে নৌকা চালানোর জন্য এ নৌদুর্ঘটনা ঘটে।