স্নিগ্ধা চৌধুরী। শোবিজের পরিচিত মডেল ও অভিনেত্রী। মডেলিংয়ের গণ্ডি পেরিয়ে সিনেমাতেও নাম লিখিয়েছেন। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘রাস্তা’ সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। রায়হান রাফির পরিচালনায় এ সিনেমায় সিয়ামের বিপরীতে অভিনয় করবেন স্নিগ্ধা।
ক্যারিয়ার ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সময়ের গল্প’র মুখোমুখি হয়েছিল স্নিগ্ধা চৌধুরী। জানিয়েছেন অজানা বিভিন্ন বিষয়। তার সাথে আলাপের চুম্বক অংশটুকু তুলে ধরা হলো-
মডেলিংয়ে আপনার শুরুর গল্পটা কেমন ছিল?
রংপুরের একটা কনজারবেটিভ পরিবারে বড় হয়েছি। মডেলিং বা অভিনয়ে আসার অনুমতি আমার বাবা-মা কখনোই দিত না। কিন্তু আমি ছোটবেলা থেকেই একটু আলাদা ছিলাম, একরোখা ছিলাম। লুকিয়ে ফ্যাশন শো দেখতাম, র্যাম্প দেখতাম। পোশাক একটু আলাদা ধরনের পরতে ভালো লাগত। এরপর যখন ঢাকায় আসলাম তখন জেদ থেকেই মডেলিং শুরু করি। শুরুতে পরিবারের সাপোর্ট ছিল না, এখন আছে অবশ্য।
মডেলিং কেন?
আমি আসলে এটাতে ইন্টারেস্ট ফিল করি। মডেলিং কিন্তু অনেক কষ্টের কাজ। ১৬-১৮ ঘন্টা টানা শুট করতে হয়, হাই হিল পরতে হয়, নিজেকে ফিট রাখতে হয়। তারপরও আমি এটাকে এনজয় করি। আমার ভালো লাগে। যেটা আমার ভালো লাগে সেটাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নাই।
সিনেমায় যুক্ত হওয়া কীভাবে?
মডেলিংয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় সিনেমায় যুক্ত হই। জাজ মাল্টিমিডিয়া নতুন মুখ খুঁজছিল, আমি অডিশন দিলাম, সিলেক্ট হয়ে গেলাম। যাত্রা শুরু হয়ে গেল।
আপনার রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস কি?
কমপ্লিকেটেড, কমপ্লিকেটেড, কমপ্লিকেটেড।
প্রথম প্রেম কখন হয়েছিল?
ক্লাস সিক্সে থাকতে। তখন আমি রংপুরে ছিলাম। ছেলেটা আমার বাসার পাশে ভাড়া থাকত। আমি ছাদে উঠতাম, সেও উঠত। এভাবেই হয়ে গেল। আম্মুর হাতে প্রচুর মার খেয়েছিলাম।
স্নিগ্ধার নাকি অনেকগুলো বয়ফ্রেন্ড?
কখনোই না। তবে আমি প্রেম করতে পছন্দ করি। আমি প্রেমে পরতে পছন্দ করি কারণ প্রেম করলে আমার চেহারা আরও সুন্দর হয়ে যায়। তবে অনেকগুলো বয়ফ্রেন্ড হয়নি। আমি এখনো একা কফি খেতে যাই।
সুগার ড্যাডি আছে?
আমার সুগার ড্যাডি নাই, থাকলে তো আমি এখন দুবাই থাকতাম। সুগার ড্যাডির বিষয়টা এখন চলছে অনেক বেশি। আমার এমন কোনো বয়ফ্রেন্ড হবে না যে থাকার পর আলাদা করে সুগার ড্যাডি দরকার আছে।
সুগার ড্যাডি নাই বয়ফ্রেন্ড নাই, তাহলে বিদেশ ঘোরার টাকা কে দেয়?
আমি তো খুব বেশি বিদেশ ভ্রমণ করি না। সব মডেলরা দুবাই যায়, এখানে সেখানে যায় আমি তো কোথাও যাই না। আমাকেই চোখে পড়ে? আমার ট্যুরগুলো ফ্যামিলির সাথেই হয়। এখানে ফ্যামিলি কন্ট্রিবিউশন থাকে, আমার কন্ট্রিবিউশন থাকে। অনেক সময় আমি একাই চলে গেছি।
মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার কম্পিটিটির কে?
কেউ না। আমি কাউকে প্রতিযোগী মনে করি না। আমি নিজেই আমার প্রতিযোগী। আমার মনে হয়, সবার যার যার জায়গা থেকে ভালো করছে। তবে আমাকে সবাই কম্পিটিটর ভাবে। কেন? এটার উত্তর তারাই দিতে পারবে। হয়তবা আমি ক্যাপাবল তাই।