বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার নির্বাচনে ভয় পায়। আমরা নির্বাচন চাই এ মুহূর্তে, কিন্তু তোমাদের (আওয়ামী লীগ সরকার) অধীনে নয়। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
আজ শনিবার বিকালে রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।
বিএনপি নির্বাচনে যেন অংশ নিতে না পারে সে জন্য সরকার একটার পর একটা মামলা দিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৪টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সাড়ে তিনশ মামলা আছে। কেন এতো মামলা দেন? কারণ, তারা ভয় পায়।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের বলছেন, সংবিধানের অধীনে এবার খুব ভালো নির্বাচন হবে। আর এদিকে কী করছেন? বিএনপির যারা নির্বাচন করবে তাদের নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছেন। যেন নির্বাচনের আগে মাঠে না থাকতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নতুন কৌশল নিয়েছে। সেই কৌশল কী? আমাদের সিনিয়র নেতা, যারা নির্বাচন করতে পারে, জনপ্রিয় নেতা, তাদের মামলাগুলোকে শেষ করে দ্রুত সাজা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাছান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহকে সাজা দিয়েছে। এই অপকৌশল দেশের মানুষ সহ্য করবে? এই সরকারের অধীনে কি নির্বাচনে যাওয়া যাবে? দেশের মানুষ কি নিরাপদ?’
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদপুর অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।