যশোরের বাঘের পাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নানা রকম নেশা দ্রব্যের অবাধ আমদানি ও নির্বিঘ্নে কেনাবেচা চলছে যাহার নতৃ্ত্বে দিচ্ছে উক্ত উপজেলার বহরমপুর গ্রামের মৃত্যু ওলিয়ার রহমানের ছেলে কামারুজ্জামান।
উক্ত জনপদের যুবসমাজ এসব নেশার চক্রে পড়ে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। এলাকায় এদের দ্বারা আইন শৃংখলার অবনতি ঘটছে। অভিভাবকমহল উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ।আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থা অজ্ঞাত কারণে নিরব।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় বাঘের পাড়া উপজেলার বহরমপুর, নালিয়াডাঙ্গা, ধলগ্রাম, জামিয়া, ধলগারাস্তাসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রত্যন্তাঞ্চলে গাজা,ইয়াবা মদসহ নানা ধরনের নেশা দ্রব্যের আমদানি ও অবাধে কেনা-বেচা চলছে। যাহার নেতৃত্বে রয়েছে কামরুজ্জামান।
এ সব নেশা দ্রব্যের ক্রেতা-বিক্রেতাদের চক্রে পড়ে আজ যুব সমাজ হুমকির মুখে। নানা ধরনের নেশায়আসক্ত এ সব যুবকরা পারিবারিক ও সামাজিক কোন অবরোধ মানছেনা।পরিবারে নানা বিশৃঙ্খলা, ভাংচুর ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী নানা কাজ করছে।যে কারণে অভিভাবকমহল একদিকে তাদের সন্তান নিয়ে উদ্বিগ্ন, অপর দিকে এ সব নেশা দ্রব্যের আমদানি ও অবাধে কেনা-বেচা দেখে ক্ষুব্ধ।
বাঘের পাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকজন নেশায় আসক্ত যুবকের মায়ের সাথে আলাপ করে জানা যায়,এসব নেশা দ্রব্য যে আমদানি ও বেচাকেনা করছে তারা খুবই সংঘবদ্ধ ও এদের পিছনে পর্দার আড়ালে রয়েছে সমাজে অস্বীকৃত প্রভাবশালী মহল।
যে সব কারণে সমাজে শান্তিপ্রিয় লোকজন এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়। এদের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা নানা ভাবে তাদের উত্তাক্ত করে এলাকা ছাড়া করার বা দুর্বল করার চেষ্টা করে। এলাকায় পুলিশ এলেএ সব নেশা দ্রব্য আমদানি ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত ও তাদের পৃষ্ঠপোষক মিলে নানাজনকে সন্দেহের তীর ছুড়তে আরম্ভ করে। অনেকের কাছে উল্টে ক্ষতিপূরণ ও চাঁদা দাবী করে।এদের নানা অত্যাচারে ইতোমধ্যে অনেকে এলাকা ছাড়া হয়েছে। অপর একটা সূত্র থেকে জানা যায়, এসব নেশা দ্রব্যের আমদানি ও বেচাকেনার সাথে জড়িতদের ব্যাপারে পুলিশকে জানাতে গেলে পুলিশ বলে কারা, কোথায় এবং কোন সময় বহন করে এবং কেনাবেচা করে তাদের হাতেনাতে ধরিয়ে দিতে।
উক্ত সূত্র এপ্রতিবেদককে দুঃখ করে জানান, আইন প্রয়োগকারী সকল মহলের প্রচার মাধ্যমে প্রচার শুধুই লোক দেখানো। পুলিশ কি জানেনা কারা কারা,কোথায় নেশা দ্রব্যের কেনাবেচা করছে এবং কারা এদের পৃষ্ঠপোষক?