কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিয়ের দাবিতে পরকীয়া প্রেমিক ও স্বামীর মামাতো ভাইয়ের বাড়িতে পাঁচদিন ধরে অবস্থান করছেন চন্দনা রাণী নামে এক সন্তানের মা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজেরকুটি বানিয়াটারী গ্রামে প্রেমিকের শোবার ঘরে তাকে অবস্থান করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, ওই গ্রামের অজয় রায়ের অনার্স পড়ুয়া ছেলে বিকাশ চন্দ্রের (২৮) সঙ্গে প্রতিবেশী সুবোধ চন্দ্রের স্ত্রী এক সন্তানের মা চন্দনা রাণীর সাত বছর ধরে পরকীয়া চলছিল। প্রেমের একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাতে বিকাশ স্বামীর অনুপস্থিতিতে চন্দনার ঘরে যান। সেখানে আপত্তিকর অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে আটক করেন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান বিকাশ। পরদিন চন্দনার স্বামী সুবোধ বাড়ি ফিরে ঘটনা শুনে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং তাকে নিয়ে আর সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেন। উপায়ন্তর না দেখে শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চন্দনা বিকাশের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বিকাশ।
চন্দনা রানী বলেন, ‘আট বছর আগে সুবোধের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর আমার
স্বামীর মামাতো ভাই বিকাশ আমাকে ফুসলিয়ে আমার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করে। তখন থেকে প্রায়ই সে আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমার সঙ্গে মেলামেশা করতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে আমার শাশুড়ি ও বাড়ির লোকজন তাকে আমার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন। আমার স্বামী বিষয়টি জানার পর আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বিকাশ আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না।’
এ প্রসঙ্গে প্রেমিক বিকাশ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে বিকাশের মা প্রতিমা রাণী বলেন, ‘চন্দনা সম্পর্কে আমার ভাগিনা বউ। সে আমাদের বাড়িতে পাঁচ দিন ধরে আছে। আমার ছেলে বাড়ি নেই। তাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে কিনা জানি না।’
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাছেন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সে বলেছে, বিকাশ তাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে। আমরা ছেলে ও তার পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। মনে হয় সমাধান হবে।’