ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করে এবার আফ্রিকার দিকে নজর দেবে ওয়াগনার বাহিনী। এক ভিডিও বার্তায় এমনই কথা বললেন রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
বুধবার (১৯ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে আসলেন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এক ভিডিও বার্তায় বেলারুশে অবস্থানকৃত ওয়াগনার যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন , তারা আর ইউক্রেনে যুদ্ধ করবে না। এবার আফ্রিকায় যুদ্ধের জন্য সেনাদের প্রস্তুত হবার নির্দেশ দেন তিনি।
২০১৮ সালে ওয়াগনার গ্রুপকে আফিকায় আনা হয়। তাদেরকে আনার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা দেয়া এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান। তবে দ্রুতই মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের ক্ষমতাবলয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে ওয়াগনার গ্রুপ। ক্ষমতাসীন সরকারকে টিকিয়ে রাখতে বিরোধীদের উপর নিপীড়ন শুরু করে। এরপর ২০২০ সালে আফ্রিকার আরেকটি দেশ মালিতে প্রবেশাধিকার পায় এই ভাড়াটে যোদ্ধারা।
গত বছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইউক্রেন বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। দখল করেছে ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তাদের ইউক্রেনের অঞ্চল দখল করে বুঝিয়ে দিয়েছে রুশ সেনাদের কাছে। তাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে বেশ প্রশংসাও করেছেন পুতিন।
কিন্তু চলতি বছরের ২৩ জুন রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ওয়াগনার যোদ্ধারা। তারা রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন শহরে ঢুকে পড়ে এবং এর বেশকিছু সামরিক স্থাপনা দখলে নেয়। এরপর ২৪ জুন তারা বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসতে সম্মত হয়।
বর্তমানে ওয়াগনার যোদ্ধারা বেলারুশে রয়েছেন। দেশটির ওসিপোভিচি শহরের কাছে একটি সামরিক স্থাপনায় বেলারুশ সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তারা।