ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাড়াই ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পাড় করতে না পারায় এবার দর্শক হয়েই থাকতে হবে দুইবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলটিকে। তাদের এই দুর্দশার কারণ অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের উত্থান। বেশিরভাগ ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররাই জাতীয় দলের হয়ে খেলার চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে আগ্রহ দেখায়। তবে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চান ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।
২০২১ সালে শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন রাসেল। এরপর আর তাকে জাতীয় দলে দেখা যায়নি। তার পাশাপাশি সুনীল নারিন, কাইরন পোলার্ডরাও জাতীয় দল থেকে দূরে আছেন। তবে বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দুর্দশা দেখে আবারো জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাসেল। প্রয়োজন পরলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ছাড়তেও রাজি ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। আর বিশ্বকাপ খেলতেই জাতীয় দলে ফিরতে চান তিনি। জ্যামাইকা অবজারভারকে রাসেল বলেছেন, ‘আমি খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। পরের বিশ্বকাপের অংশ হতে চাই। ফলে দলে নেয়া হলে আমার জন্য বিশেষ কিছু হবে এটি।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চালু হওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছেন রাসেল। আর রাসেলের দল ঘরের মাঠে খেলছে ভারতের বিপক্ষে। সামনে এই দুই দলের ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। আর এই সিরিজেই দলে ফিরতে চান রাসেল। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার বলেন, ‘নিজেকে তৈরি রাখতে কয়েকটি সিরিজ খেলতে চাই। একদম হুট করে গিয়ে তো বলতে পারি না যে আমি বিশ্বকাপে খেলতে চাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে হয়তো কয়েকটি লিগের প্রস্তাব ফেরাতে হবে। আমি সেটি করতে ইচ্ছুক।’
তবে জাতীয় দল থেকে ডাক না পেলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে ‘না’ বলবেন না রাসেল সেটাও জানিয়েছেন তিনি। কারণ, এখন পর্যন্ত টিম ম্যানেজমেন্টের কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তার। সাবেক ক্যারিবীয় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি এখন জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে এখন আর কথা হয়নি। রাসেল বলেন, ‘যে ফ্র্যাঞ্চাইজিই চাইবে, আমি প্রস্তুত আছি। কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে না খেলাটা একটা সমস্যা। তবে তারা যখন আপনাকে নেবে না, আপনি ঘরে বসে থাকবেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও খেলবেন না—সেটিও একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, তারা (জাতীয় দল) দেখবে আপনি কোথাও খেলছেন না।’