বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষই চেয়ারে বসে টেবিলে খাবার রেখে খান। তবে আগেকার যুগে মেঝেতে বসে খাওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। এখনও জাপানের মতো দেশে বহু মানুষ সেই সংস্কৃতি ধরে রেখেছেন। তবে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে সেই নিয়ম এখন অনেকেই বদলে ফেলেছেন।
এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের গ্রামাঞ্চলে এখনও অনেকে মেঝেতে বসে খাবার খান। জানেন কী মেঝেতে বসে খাবার খেলে কী হয়?
ওজন কমে
মেঝেতে বসে খাবার খেলে পেটের পেশির নড়াচড়া বেশি হয়। এর ফলে পেটে জমা মেদ কমে আসে। এমনকি মস্তিষ্ক অনেকটা শিথিল হয়। মেঝেতে বসে খেলে বেশি খাওয়াও যায় না। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
খাবার সহজে হজম হয়
মেঝেতে বসে খাবার খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। কেউ যখন মাটিতে বসে খাবার খান, তার শরীরের উপরের অংশ একবার সামনের দিকে ঝোঁকে, আবার পেছনে যায়। অনেকে মনে করেন, এতে হজম প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হয়।
মনঃসংযোগ ক্ষমতা বাড়ে
অনেকেই মনে করেন, মাটিতে বসে খাবার খেলে মনঃসংযোগ বাড়ে। বিশেষ করে ছোটদের ক্ষেত্রে এই কাজটি খুবই ভালো হতে পারে।
হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা কমায়
শরীরের বিভিন্ন অংশে জয়েন্টে ব্যথা থাকলে মেঝেতে বসে খাওয়া উপকারী হতে পারে। মেঝেতে বসে খাওয়ার সময় হাঁটু ভাঁজ করতে হয় এবং কোমরের নড়াচড়া বাড়ে। এতে জয়েন্টের ব্যায়াম হয়। ফলে ব্যথা কমে।
ফুসফুস ভালো থাকে
মেঝেতে বসে খাওয়ার সময় মেরুদণ্ডের নিচের অংশে যথেষ্ট চাপ পড়ে। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
রক্ত চলাচল ভালো হয়
মেঝেতে বসে খাওয়ার সময় রক্ত চলাচলের উন্নতি হয় বলেও মনে করা হয়। এই অভ্যাস স্নায়ু এবং হৃৎপিণ্ডের সমস্যাও কমাতে পারে। এর ফলে কোমর থেকে পা, মেরুদণ্ড সব কিছুর উপকার হয়।