সুইডেনে আবারও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ‘পরিকল্পনার খবরে’ ইরাকের বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে প্রতিবাদকারীরা বাগদাদের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত দূতাবাসটির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে এ হামলা চালায় এবং একপর্যায়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্রাথমিকভাবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। এ বিষয়ে সুইডিশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বক্তব্য জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও, তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো সাড়া দেননি।
তবে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে সুইডিশ নিউজ এজেন্সি টি.টি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্টকহোমে ইরাক দূতাবাসের বাইরে বৃহস্পতিবার এক গণজমায়েতের আবেদনে অনুমোদন দেয় সুইডেন পুলিশ। বুধবার (১৯ জুলাই) এ অনুমোদন দেয়া হয়। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আবেদনকারীরা কোরআন ও ইরাকের পতাকা পোড়াতে চান। এই গণজমায়েতে দুই ব্যক্তির অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। যাদের একজন গত জুনে স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে কোরআন পুড়িয়েছিলেন।’
অন্যদিকে, আবারও কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনার খবরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ডাক দেন ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা মোকতাদা আল সদরের অনুসারীরা। টেলিগ্রাম গ্রুপে তাদের পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, বুধবার রাত ১টার দিকে বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদকারীরা জড়ো হয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর তারা দূতাবাস ভবনে হামলা চালান।