এস এম আলতাফ হোসাইন সুমন, লালমনিরহাট থেকে।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় এক বখাটে যুবকে স্থানীয় জনতা ও শিক্ষক আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া নর্থশাইন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই যুবককে থানায় নিয়ে আসেন।
আটক যুবকের নাম সেলিম হোসেন সে ওই উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া এলাকার আব্দুল গফুর আলীর ছেলে বলে জানায় পুলিশ ।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন থেকে সেলিম হোসেনসহ আরোও কয়েকজন যুবক দইখাওয়া নর্থশাইন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে দিনের পর দিন উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বখাটে সেলিমের উত্ত্যক্ত সহ্য করতে না পেয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার শিক্ষককে জানালে কলেজের শিক্ষকেরা সেলিমের বাবার সঙ্গে কথা বলে তাঁকে সতর্ক করে দেন। এতে ওই বখাটে যুবক আরো ক্ষিপ্ত ও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এমতাবস্থায় মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ওই স্কুল এন্ড কলেজ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একটি খেলনা পিস্তল হাতে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে শিক্ষক ও স্থানীয়রা সেলিমকে আটক করে প্রথমে গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। পরে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরো অভিযোগ উঠেছে, বখাটে সেলিম ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। শুধু তা-ই নয়, তাঁর অপকর্মে বাঁধা দিলে কলেজের শিক্ষককে ও হুমকি দেন সেলিম। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। এ ব্যাপারে নর্থশাইন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মমিনুর ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সেলিম নামে ওই যুবক মঙ্গলবার সকালে কলেজের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তঘন আমি তাকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গেলে চেয়ারম্যান থানা পুলিশে খবর দেন পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায় । বখাটে সেলিমের এই অপকর্মে বাঁধা দেয়ায় সে আমাকেও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
নর্থশাইন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, বখাটে সেলিম দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে আসছেল। সম্প্রতি এই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রাস্তাঘাটে আটকিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় দেয় সে এতে বাঁধা দিলে সে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে কটর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহা আলম বলেন, সেলিম হোসেন নামের একজনকে একটি খেলনা পিস্তলসহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেহেতু তাঁর বয়স কম তাই ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।