গত ডিসেম্বরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যখন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন, সে সময় অনেকেই নাক সিটকেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস গড়াতে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে বেশ কয়েকজন শীর্ষ তারকা অনুসরণ করেছেন রোনালদোর পদাঙ্ক। যে তালিকায় আছেন করিম বেনজেমা, এনগোলো কান্তের মতো তারকাও। দিনে দিনে এই মিছিল বেড়েই চলেছে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রোনালদো আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর সৌদি পেশাদার লিগের ভোলই বদলে গেছে। একের পর এক তারকা যোগ দিচ্ছেন এশিয়ার এই ফুটবল লিগে। এতদিন ক্যারিয়ার সায়াহ্নে থাকা শীর্ষ তারকারাই শুধু ইউরোপ ছেড়ে সৌদি পাড়ি জমালেও সম্প্রতি রুবেন নেভেস, মার্সেলো ব্রোজোভিচ, জটার মতো তরুণ তারকারাও যোগ দিয়েছেন এই লিগে। নাম লেখানোর অপেক্ষায় আছেন লাৎসিওর সার্বিয়ান মিডফিল্ডার সার্জ মিলানকোভিচ সাভিচও।
রোনালদো মনে করেন, আর বছর খানেকের মধ্যে আরও অনেক শীর্ষ তারকা সৌদি লিগে নাম লেখাবেন। এমনকি মানের দিক থেকে টার্কিশ ও ডাচ লিগকেও ছাড়িয়ে যাবে। রোনালদো মনে করেন, তিনি রাস্তাটা দেখিয়ে দিয়েছেন। এখন একের পর এক খেলোয়াড়রা এই পথে হাঁটবেন।
প্রাক-মৌসুমে সোমবার (১৭ জুলাই) প্রথমবারের মতো আল নাসরের হয়ে মাঠে নামেন রোনালদো। স্প্যানিশ ক্লাব সেলটা ভিগোর বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরেছে তার দল আল নাসর। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই দাবি করেন।
এ সময় এক পর্তুগিজ সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি সৌদি লিগে আসায় তারা আমার সমালোচনা করেছিল, কিন্তু এখন কী দেখা যাচ্ছে? আমি রাস্তাটা খুলে দিয়েছি…এখন সকল খেলোয়াড় এখানে আসতে চায়।’
তিনি যোগ করেন, ‘বছরখানেকের মধ্যেই আরও, আরও অনেক শীর্ষসারির খেলোয়াড় সৌদি আরবে আসবেন। এক বছরের মধ্যেই সৌদি লিগ টার্কিশ ও ডাচ লিগকে ছাড়িয়ে যাবে।’
এ সময় পর্তুগিজ অধিনায়ক দাবি করেন, তার এই সিদ্ধান্তই সৌদি লিগের পথ ঠিক করে দেওয়ার ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ দায়ী। তিনি আরও দাবি করেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো’ যেখানেই যাক না কেন তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ জন্ম নেয়।
তার ভাষায়, ‘শীর্ষ খেলোয়াড়দের নতুন করে সৌদি লিগে নিয়ে আসতে আমার সৌদি ক্লাবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ১০০ ভাগ নির্ধারক ছিল। এটাই সত্য। যখন আমি য়্যুভেন্তাসে যোগ দিয়েছিলাম, এটা মৃত ছিল এবং আমাকে স্বাক্ষর করানোর পর কী দেখা গেল? – এটা পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল। ক্রিস্টিয়ানো (রোনালদো) যেখানেই যাক, সে সর্বোচ্চ মুনাফা তৈরি করেছে।’