Homeসর্বশেষ সংবাদরাজবাড়ীতে পাটক্ষেতে মিললো নিখোঁজ নারীর কঙ্কাল

রাজবাড়ীতে পাটক্ষেতে মিললো নিখোঁজ নারীর কঙ্কাল

মিঠুন গোস্বামী,  রাজবাড়ী।।
রাজবাড়ীতে নিখোঁজের ১২ দিন পর পাটক্ষেত থেকে জান্নাতি বেগম (২২) নামে স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর মরদেহের কঙ্কাল ও হাড়গোর উদ্ধার করেছে কালুখালী থানা পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া গ্রামের পাটক্ষেত থেকে এ কঙ্কাল ও হাড়গোর উদ্ধার করা হয়। জান্নাতি ওই গ্রামের আবুল কাশেম বেপারীর মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ৪-৫ বছর আগে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের কুদ্দুছ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে জান্নাতির বিয়ে হয়। তার তিন বছর বয়সি এক ছেলে রয়েছে। প্রায় আট মাস আগে স্বামীর সঙ্গে জান্নাতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের সময় ছেলেকে তার স্বামী নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি পাতুরিয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত ৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে তিনি শুয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকেও তার মা তাকে ঘরে দেখতে পায়। তবে রাত ১ টার দিকে তার মা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে তাকে দেখতে পায়না। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত ১১ জুলাই তার পরিবারের লোকজন কালুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে পাতুরিয়া গ্রামের পূর্বপাড়া মাঠের পাটক্ষেতে ঘাস কাটতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি মানুষের মরদেহের কঙ্কাল ও হাড়গোর দেখতে পান। মরদেহটি শেয়াল অথবা কুকুরে খেয়ে কয়েক টুকরো করেছে; যা দেখে চেনার কোন উপায় নেই। পরে ওই ব্যক্তি দৌড়ে এসে এলাকার লোকজনকে খবর দেন। কঙ্কাল ও হাড়গোরের পাশেই একটি ব্যাগ ছিল। জান্নাতির বাবা-মা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যাগ দেখে মরদেহটি জান্নাতির বলে শনাক্ত করেন। এরপর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ দুপুরেই ঘটনাস্থলে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা কঙ্কাল ও হাড়গোর উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান জানান, পাতুরিয়া গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে মানুষের কঙ্কাল ও হাড়গোর উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কঙ্কাল ও হাড়গোরগুলো নিখোঁজ জান্নাতির বলে দাবী করেছে পরিবারের সদস্যরা।ওই পরিবার থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছে।ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ওই নারীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
Exit mobile version