মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী।।
প্রথমে বসতভিটা লিখে নিয়েছে, জেল খাটিয়েছে মিথ্যা গরু চুরির মামলায় অপহরণ করেছে পনেরো বছরের কন্যা সন্তানকে। এমনি ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন(৪০) এর সাথে।
বৃত্তবান বোন মর্জিনা বেগম (৪০) পুলিশের সাহায্যে দরিদ্র ভায়ের সাথে এমন অমানবিক জুলুম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি ইউরোপ প্রবাসী বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর বকশিয়াবাড়ী এলাকার মো: বাবুল মিয়ার স্ত্রী।
মর্জিনা বেগমের দায়ের করা অভিযোগে দেখা যায় চলতি বছরের (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন তার বসতবাড়ি থেকে পালিত গরু চুরি করে নিয়ে যায়। যদিও বাদী যে স্থান কে নিজের বসতবাড়ি দাবী করেন সে মুলত তার পালিত পিতার বাড়ি।এমনই এক ভিত্তিহীন অভিযোগ (৪ জুন) বালিয়াকান্দি থানায় করেন তিনি। ঠিক তার পরের দিন (৫ জুন) পাশের জাবরকোল গ্রামের মফিজ মিয়ার বাড়ি থেকে গরু ও বাছুর উদ্ধার করে পুলিশ। একই সাথে গরুর প্রকৃত মালিক মর্জিনা বেগম বলে দাবী করে মামলার তদন্তকারী এস আই(নি:) মো: নাসির উদ্দীন মিয়া আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,জাহাঙ্গীর হোসেন ২০২২ সালের (২৮ ডিসেম্বর) নবাবপুর ইউনিয়নের বেরুলী এলাকার মৃত সলিম সরদারের ছেলে মো: আব্বাস সরদারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায় ৫ মাসের গাভিন গরুটি ক্রয় করে।নিজ বাড়িতে গরুটি লালন-পালন করেন তিনি।গরুর একটি কালো ক্রোস বাছুর ও হয়।তবে বাবার ভিটার অংশ বড় বোনের কাছ থেকে নিতে টাকার জন্য বাছুরসহ গরু ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকায় চলতি বছরের (১ জুন) পাশের গ্রাম জাবর কলের মকবুল মিয়ার ছেলে মো: মফিজ মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন।
তবে নিজের গরু নিজে বিক্রি করেও ১৩ দিন জেল খেটে জামিন মুক্তিপান জাহাঙ্গীর হোসেন। এর পর (২৫ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মর্জিনা বেগমের ছেলে মো: জুবায়ের মিয়া (২১) অপহরণ করে। জাহাঙ্গীরের অভিযোগ থানায় নাবালিকা মেয়ে (১৫) অপহরণের অভিযোগ দিতে গেলে নেওয়া হয়নি। এমনকি বলা হয়েছে মেয়ে গেছে তুই তো বেচে গেছিস!বিয়ের টাকা বেচে গেছে।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার গরু আমি বিক্রি করছি। অথচ আমার বোন পুলিশের সাহায্যে আমাকেই চোর বানিয়েছে। পুলিশ দিয়ে মারপিট করিয়েছে। মেয়েকে অপহরণ করেছে। মেয়েকে পেতে কোর্টে মামলা করেছি, পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রতিনিয়ত বোন ভাগ্নেরা আমাকে মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে। আতঙ্কে দিনপাত করছি।
মর্জিনা বেগমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, গরু আমার।আর মেয়ে নিজের ইচ্ছায় আমার ছেলে সাথে আছে বলেই ফোন কেটে দেন।