দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যাঞ্চলে কয়েকদিন ধরেই চলছে টানা বর্ষণ। ভারি বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় নাকাল দেশটির রাজধানী সিউলসহ বিভিন্ন অঞ্চল। বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যায় ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও অন্তত ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
দেশটির মধ্যাঞ্চলে চেওংজু শহরে বন্যার পানিতে ৬৮৫ মিটার দীর্ঘ একটি টানেলে বেশ কয়েকটি যানবাহন ডুবে যায়। সেখানে উদ্ধারকারীরা প্লাবিত টানেলে ডুবে যাওয়া গাড়ি থেকে ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করেন। শনিবার (১৫ জুলাই) তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে পার্শ্ববর্তী মিহো নদীর তীর ধসে পড়লে চার লেনের আন্ডারপাসটি প্লাবিত হয়।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উত্তর গিয়াংসাং প্রদেশে, যেখানে ভূমিধস এবং বাড়িঘর ধসে ১৭ জন মারা গেছেন এবং আরও ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, টানা তিন দিন ধরে চলা ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে কোরিয়ার ওসোং এলাকায় একটি বাঁধ ধসে মুহূর্তেই ওই এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যায়। একাধিক গাড়ি পানিতে ভেসে যায়।
কোরিয়া রেলরোড করপোরেশন জানিয়েছে, তারা সব ধীর গতির ট্রেন ও কিছু বুলেট ট্রেনের চলাচল স্থগিত করেছে। অন্য বুলেট ট্রেনগুলো ধীরগতির কাজের কারণে বিলম্বিত হতে পারে। এদিকে, চুংচিয়ং এলাকা থেকে ৬ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুলাই) দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কোরিয়া আবহাওয়া দফতর থেকে আগামী বুধবার (১৯ জুলাই) পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগদান, সরঞ্জাম সরবরাহ ও জনবল সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন।