বাধ্যতামূলক হিজাব আইন কার্যকর করতে রাস্তায় ফের টহল শুরু করেছে ইরানের নীতি পুলিশ। রোববার (১৬ জুলাই) দেশটির আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর মুখপাত্র সাঈদ মোন্তাজেরালমাহদি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কারণে নীতি পুলিশের উপস্থিতি অনেকাংশেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যথাযথ নিয়ম মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে আমিনিকে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ আটক করেছিল।
আটকের পর নীতি পুলিশের হেফাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তেহরানের একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে ইরান। দেশজুড়ে এমন বিক্ষোভে পর নীতি পুলিশের টহল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর প্রায় ১০ মাস পরে আবারও তৎপরতা শুরু করেছে বিশেষায়িত এই বাহিনী।
যদিও গত ডিসেম্বরে নীতি পুলিশকে বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। নীতি পুলিশ টহল বন্ধ করে দিয়ে খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। যদিও এ বাহিনীকে পুরোপুরি বিলুপ্ত করার খবরটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছিল দেশটির সরকার।
ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর মুখপাত্র সাঈদ মোন্তাজেরালমাহদি বলেছেন, জনগণ, বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানের অনুরোধ এবং প্রেসিডেন্ট ও বিচার বিভাগের করা জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে নীতি পুলিশকে আবারও ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি নারীদের সতর্ক করে বলেন, কেউ যদি সামাজিক রীতিনীতি অমান্য করে, কিংবা ‘অপ্রচলিত কোনো পোশাক’ পরিধান করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইরানের শরিয়া আইন অনুযায়ী, নারীদের মাথা ও চুল ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। তাদের এমন লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে, যাতে শরীরের গঠন বোঝা না যায়।