রাশিয়ার কাছে ক্লাস্টার বোমার পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং প্রয়োজনে এসব বোমা ব্যবহারের অধিকার মস্কো রাখে বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ক্লাস্টার বোমার চালান তাদের কাছে পৌঁছেছে। কিয়েভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে অবস্থানরত রুশ সেনাদের হটাতে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করবেন। তবে তারা কোনোভাবেই এসব বোমা রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করবে না।
ইউক্রেনের এমন অবস্থানের বিপরীতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রোববার (১৬ জুলাই) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম মস্কো টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রয়োজনে রাশিয়াও এমন অস্ত্র ব্যবহার করে জবাব দেবে। তবে পুতিন জানিয়েছেন, তিনি এ ধরনের বোমার ব্যবহারকে অপরাধ বলেই গণ্য করেন।
পুতিন বলেন, ‘আমি জানিয়ে দিতে চাই যে, রাশিয়ান ফেডারেশনেও বিভিন্ন ধরনের ক্লাস্টার বোমার পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আমরা এখনো সেগুলো ব্যবহার করিনি। তবে সে রকম বোমা আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হলে আমরা অবশ্যই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখি।’
সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, তিনি ক্লাস্টার বোমার ব্যবহারকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেন এবং অতীতে গোলাবারুদের সমস্যা সহ্য করেও রাশিয়ার এখনো সেগুলো ব্যবহার করেনি।
এদিকে টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক দাবি করেছেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্লাস্টার বোমা ইউক্রেনকে দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকেই অপমানিত করেছে। এই বোমা চলমান ইউক্রেন সংকট সমাধানে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখবে না।
শনিবার (১৫ জুলাই) ইলন মাস্ক টুইটারের লেখেন, ‘ইউক্রেনে পাঠানোর মতো স্বাভাবিক গোলাবারুদ ফুরিয়ে গেছে। তাই এখন আমরা সেখানে ক্লাস্টার বোমার মতো অস্ত্র পাঠাচ্ছি। কিন্তু এর অর্থ হলো, সেখানে (ইউক্রেনে) পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন আনতে না পারা এবং নিজেদের (যুক্তরাষ্ট্রকে) অপমানিত করা।’