ভারতের দিল্লিতে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা এযাবতকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। নদী ছাপিয়ে সেই পানি ঢুকে পড়ছে দিল্লি শহরে। বন্যার পানির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। এছাড়াও বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনাতেও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এমন পরিস্থিতিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য বিভিন্ন ব্যারেজের মুখ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লির কর্মকর্তারা।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যারেজের গেট খুলতে সেনাবাহিনীর সাহায্য নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শনিবার (১৫ জুলাই) মুম্বাই থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবুরিদের দল আসে গেট খোলার জন্য।
আইটিও ব্যারেজে বেশ কয়েকটি দলের লাগাতার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, দিল্লি সরকার জ্যাম হয়ে যাওয়া পাঁচটির গেটের মধ্যে একটি মাত্র গেট খুলতে সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে দিল্লি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘সেনাবাহিনী এবং দুর্যোগ মোকাবেলা কর্মীরা সুপ্রিম কোর্টের পাশের পানি নিষ্কাশনের জন্য ভাঙা ড্রেন মেরামতের কাজ করছে।’
এ বিষয়ে দিল্লির বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, ‘যমুনার পানির শহরে ঢুকে পড়া আটকাতে আমরা ড্যাম নির্মাণের চেষ্টা করছি।’
৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে যমুনার পানি ২০৭ দশমিক ৫৫ মিটার বা ৬৮১ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শহরে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবন যে এলাকায়, সেখানেও ঢুকেছে বন্যার পানি। ডুবেছে দিল্লির সচিবালয়।
রোববার (১৬ জুলাই) পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। পানি শোধনাগারের পাম্প ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লাও ভাসছে পানিতে। দেখে মনে হতে পারে লালকেল্লার চারপাশেই যমুনা বয়ে চলেছে।