Homeখেলাবিশ্বচ্যাম্পিয়ন না হলে আমি আর্জেন্টিনা দলে থাকতাম না: মেসি

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন না হলে আমি আর্জেন্টিনা দলে থাকতাম না: মেসি

টানা তিন ফাইনাল হেরে ২০১৬ সালের জুনে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এরপরের ঘটনা তো সকলেরই জানা। অবসর ভেঙে দলে ফিরে ২০১৮ বিশ্বকাপ ও ২০১৯ কোপা আমেরিকায় ব্যর্থ হলেও এরপর থেকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জার্সিতে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন আলবিসেলেস্তে কিংবদন্তি। কোপা আমেরিকা দিয়ে শুরু এরপর লা ফিনালিসিমা জয়ের পর কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে ক্যারিয়ারকেও পূর্ণতা দিয়েছেন মেসি।

সবশেষ বিশ্বকাপ দিয়েই ফুটবলে অমরত্ব পেয়েছেন লিওনেল মেসি। পূরণ হয়েছে আরাধ্য এক স্বপ্ন। লুসাইলে গত ডিসেম্বরে মেসি উঁচিয়ে ধরেন ফুটবলের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ট্রফিটা। অথচ দু’বছর আগেও জাতীয় দল ছিল মেসির জন্য হাহাকারের সমার্থক। শিরোপা মঞ্চে গিয়ে বারবার খালি হাতে ফেরা। অভিমানী মেসি একবার অবসরও নিয়ে নেন। কিন্তু সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতেই ফিরে আসেন আবার। ইতিহাসের পাতায় এরপর লেখেন নতুন সব গল্প।

বিশ্বকাপ জয়ের পর বেশ নির্ভার মেসি। জাতীয় দলের হয়ে জেতার আর কিছুই বাকি নেই। তাই একটা প্রশ্ন ইদানিং বারবার শুনতে হয়। আর কতদিন গায়ে চড়াবেন জাতীয় দলের জার্সি। এখনই অবসরে না গেলেও যে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে আছে, সেটাও জানিয়েছেন। তবে কাতারে ফলাফল ভিন্ন হলে গল্পের প্রেক্ষাপটও হতে পারতো ভিন্ন।

এ বিষয়ে একটি আর্জেন্টাইন টিভি নেটওয়ার্ককে মেসি বলেন, ‘আমি বিশ্বকাপের প্রতিটি মুহূর্ত খুব উপভোগ করেছি। এমনটি আগের আসরগুলোতে হয়নি। কারণ আমি জানতাম এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। সত্যি কথা বলতে, আমরা যদি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন না হতাম তবে আমি আর জাতীয় দলে থাকতাম না। এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমি জাতীয় দল ছেড়ে যেতে পারি না। আমি সব কিছু উপভোগ করতে চাই।’

মেসি এখন অপেক্ষায় নতুন জার্সিতে নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়ার। যুক্তরাষ্ট্রে সাজ সাজ রব। আরো স্পষ্ট করে বললে ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ভর করেছে মেসিম্যানিয়া। ব্রহ্মাণ্ডের সেরা খেলোয়াড় পা রেখেছে এই রাজ্যে। এখন অপেক্ষা তার মাঠে নামার।

সেই অপেক্ষা ফুরাবে রোববার (১৬ জুলাই)। আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে মেসিকে পরিচয় করিয়ে দেবে ইন্টার মায়ামি। ‘দ্য আনভেইল’ নামের এই আয়োজন হবে যুক্তরাষ্ট্র সময় রোববার রাত ৮টায়। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী আয়োজন শুরু হবে সোমবার ভোর ৬টায়।

শুধু মেসিই নন, একই সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হতে পারে মেসির সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ সার্জিও বুসকেতসকেও। উপস্থিত থাকবেন ক্লাবের নতুন কোচ জেরার্দো টাটা মার্তিনোও।

মেসি যুক্তরাষ্ট্রে যাবার পর দেশটির ফুটবলে শুরু হয়েছে অন্য রকম এক উন্মাদনা। সাদামাটা বিবেচিত হওয়া মার্কিন ফুটবলে যেন নতুন রং লেগেছে। এটাও উপভোগ করছেন মেসি। তারও যেন তর সইছে না মাঠে নামতে। আর্জেন্টাইন মহাতারকা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবে খেলার সিদ্ধান্তে আমি খুশি। নতুন এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত। আমি যুক্তরাষ্ট্রে খেলবো এতে আমার মানসিকতায় কোনো পরিবর্তন হবে না। আমি নিজের জন্য, আমার নতুন ক্লাবের জন্য সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো এবং সর্বোচ্চ স্তরে পারফর্ম করার চেষ্টা করবো।’

আগামী ২১ জুলাই ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ইন্টার মিয়ামির হয়ে অভিষেক হওয়ার কথা লিও মেসির।

সর্বশেষ খবর