চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বিষপ্রয়োগ এবং বিষপ্রয়োগে একজনকে হত্যা করার অভিযোগে ওই কিন্ডারগার্টেনের একজন শিক্ষিকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম ওয়াং ইউন।
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার চীনের জিয়াওজুও শহরে ২৫ জন শিক্ষার্থীর খাবার পোরিজে বিষ মেশানোর অভিযোগে মেংমেং প্রি-স্কুল এডুকেশনের সাবেক শিক্ষিকা ওয়াং ইউনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওয়াং এর বয়স ছিল ৪০ বছর।
এই ঘটনায় একজন শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া বাকি সবাই বিষক্রিয়া থেকে মুক্তি পেয়েছে। ছাত্র ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্কুলের অন্য এক কর্মকর্তার সাথে তর্কাতর্কির পর এমন ঘটনা ঘটায় ওয়াং। খাবার খাওয়ার পরপরই বমি করতে শুরু করে শিশুরা এবং এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাদের মধ্যে একজন ১০ মাস পর শরীরের একাধিক অর্গান ফেইল করার কারণে মারা যায়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে শিক্ষার্থীদের খাবারে বিষাক্ত সোডিয়াম নাইট্রাইট ব্যবহার করেন ওয়াং। নাইট্রাইট হল একটি বিষাক্ত কার্সিনোজেন যা রক্তকে শরীরে অক্সিজেন বহন করতে বাধা দেয়। বিষপ্রয়োগের অপরাধে একই সালে ওয়াংকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় জিয়াওজুও আদালত তাকে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে।
ওয়াংকে প্রাথমিকভাবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি তার শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পরে আপিলে হেরে যান। ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতি করার জন্য ওয়াংকে প্রথমে নয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে তার আপিল সত্ত্বেও তার সাজা মৃত্যুদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়।
অনলাইনে বিষাক্ত সোডিয়াম নাইট্রাইট কেনার পর একইভাবে স্বামীকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগও উঠেছে ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে। তার স্বামী বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলেও পরে বেঁচে যান।