বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। শনিবার বিকাল ৩টায় পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে নতুন করে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বগুড়ার তিন উপজেলায়। ভিটেমাটি ছাড়ছেন এসব এলাকার জনগণ । সারিয়াকান্দিতে ১০০ মিটারের মধ্যে হুমকিতে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল ৩ টায় যমুনার পানির উচ্চতা ছিল ১৫.৮৪ মিটার। শনিবার বিকাল ৩ টায় পানির উচ্চতা ১৬.১৬ মিটার। অর্থাৎ গত ২৪ ঘন্টায় পানি ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানির বিপৎসীমা ১৬.২৫ মিটার। ফলে পানি বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ধারাবর্ষা গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ১৫ দিনে নদীভাঙ্গনের শিকার হয়ে ১০০টির বেশি পরিবারের বাড়ীঘর এলাকাছাড়া হয়েছেন। যমুনার ভাঙনে হারিয়েছেন তাদের ভিটেমাটি। কয়েকদিন আগেই বসতবাড়ী ভেঙে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫০টি পরিবারের লোকজন। ভাঙন এলাকার নদীতীরের ৫০ মিটারের মধ্যে বসবাস করছেন প্রায় ১৫টি পরিবারের লোকজন। এ পর্যন্ত প্রায় ১হাজার ২শ বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে যমুনায়। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে এ গ্রামের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধারাবর্ষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি ভাঙন এলাকার মূল তীর হতে মাত্র ১০০ মিটার দূরে অবস্থান করছে। সেখানে চলছে নতুন ভবন নির্মাণকাজ। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এ গ্রামের লোকসংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, যেহেতু উত্তরে পানি কমার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। তাই সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি দুএকদিন বৃদ্ধি পেয়ে আবারো কমতে শুরু করবে। বোহাইল ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকাটি খুব শীঘ্রই পরিদর্শন করে সেখানে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।