অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার (আরবিএ) প্রথম নারী গভর্নর হলেন মিশেল বুলক।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এবারই প্রথম কোনো নারী আরবিএ’র নেতৃত্ব দেবেন।
মিশেল বুলক রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার (আরবিএ) বর্তমান গভর্নর ফিলিপ লোয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন। লোয়ের গত সাত বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বুলক এমন এক সময়ে নিয়োগ পেয়েছেন যখন অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে ক্রমবর্ধমান পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আরবিএ। চড়া মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে সম্প্রতি সুদের হারও বাড়িয়েছে দেশটি। যা গত এক দশকেরেও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, দেশটির আর্থিক পরিষেবা খাত মূলত পুরুষপ্রধান। আর এই লিঙ্গবৈষম্য দেশটির বেতন কাঠামোতে বেশ ভালোভাবেই পরিলক্ষিত হয়।
বর্তমানে আরবিএ’র ডেপুটি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বুলক। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে তার সাত বছরের মেয়াদ শুরু হবে।
এবিষয়ে শুক্রবার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে বুলক জানিয়েছেন, ‘এ দায়িত্ব নেয়ার জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং সময়। তবে একটি শক্তিশালী নির্বাহী দল ও বোর্ড আমাকে সহযোহিতা করবে।’
অস্ট্রেলিয়ার জনগণের জন্য রিজার্ভ ব্যাংকের নীতি, কার্যক্ষম ও উদ্দেশ্যগুলো যেন আরও মঙ্গল বয়ে আনতে পারে, সে লক্ষ্যেই কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বিগত প্রায় চার দশক আগে বুলক একজন বিশ্লেষক হিসেবে আরবিএতে যোগ দেন। এরমধ্যে ২০২২ সালের এপ্রিলে আরবিএ’র ডেপুটি নির্বাহী হিসেবে যোগ দেয়ার আগে তিনি সহকারী গভর্নর এবং অর্থ প্রদান নীতি বিভাগের প্রধানসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এবিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ। টুইটে তিনি লিখেন, বুলক একজন অসামান্য অর্থনীতিবিদ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বেশ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।
আলাদা আরেক টুইটে তিনি লিখেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ও আরবিএকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।’
দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক পরিষেবা খাতে সর্বোচ্চ লিঙ্গবৈষম্য রয়েছে। দ্য ওয়ার্কপ্লেস জেন্ডার ইকুয়ালিটি এজেন্সির তথ্য বলছে, গত বছর এই খাতে নারী ও পুরুষদের মধ্যে পারিশ্রমিকে পার্থক্য ছিল ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ। যা জাতীয় পর্যায়ে ২২ দশমিক ৮ শতাংশ।