কসোভো পার্লামেন্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ওপর বোতলের পানি ছুড়ে মেরেছেন বিরোধী দলের এক আইনপ্রণেতা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টে এ ঘটনার পর সরকার ও বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর সিএনএনের।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কসোভোর উত্তরাঞ্চলে সার্ব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি। ওই সময় বিরোধী দলের একজন আইনপ্রণেতা বোতল থেকে পানি ছুড়ে মারেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি।
দুপক্ষের ৫০ জনের মতো আইনপ্রণেতা মারামারিতে জড়ান। নারী আইনপ্রণেতাসহ কয়েকজন দু’পক্ষকে সংযত করার চেষ্টা করেন। প্রধানমন্ত্রী কুর্তিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু তখনও দু’পক্ষের আইনজীবীরা কিলঘুসির মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার (১২ জুলাই) কসোভোর উত্তরাঞ্চলে সার্ব অধ্যুষিত এলাকায় চারটি পৌর ভবনের বাইরে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের সংখ্যা কমানোর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী কুর্তি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিরোধীরা। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে ভাষণ দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারেন ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কসোভোর এক আইনপ্রণেতা।
চলতি বছরের মে মাসে উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বড় পরিসরে বর্জন করে সার্বরা। নির্বাচনে জয়ী আলবেনীয় মেয়ররা পুলিশের সহায়তায় দায়িত্ব পালন করলেও স্থানীয় সার্বদের সঙ্গে কসোভো পুলিশ ও ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন শান্তিরক্ষীদের প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে আহত হয়েছেন অনেকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তির নেয়া নীতির কঠোর সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলো। এই নীতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে কসোভোর সম্পর্কেও ভাটা পড়েছে।
এর আগে, ১৯৯৮-৯৯ সালে অঞ্চলঠিতে ব্যাপক আকারে জাতিগত সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।