সময়টা তেমন ভালো কাটছে না বার্সেলোনার। ভক্তদের প্রিয় তারকা লিওনেল মেসিকে খুব করে চেয়েও দলে ভেড়াতে পারেনি বার্সা। লিগ শিরোপা জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরও একবার ব্যর্থ কাতালান ক্লাবটি। দলের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা স্বস্তিজনক নয়। এরই মধ্যে আরও একটি দুঃসংবাদ পেল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। ২০২২ সালে আর্থিক সংগতি নীতি ভাঙায় বার্সেলোনাকে ৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে উয়েফা।
বার্সার মতোই একই কারণে জরিমানার শিকার হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাদেরকে ৩ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে উয়েফা। শুক্রবার জরিমানার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে ইউরোপের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
জরিমানার বিষয়টি নিয়ে বার্সা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছে ইউনাইটেড। সেখানে তারা জানিয়েছে,
হতাশ হলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এই জরিমানা মেনে নিয়েছে। উয়েফা জানিয়েছে, অতীতে আমরা আর্থিক সংগতি নীতির নিয়ম হালকা ভাঙায় এই শাস্তি দেয়া হয়েছে।
তবে জরিমানা বা শাস্তির মুখে পড়লেও কোনো প্রকার বহিষ্কারের মুখোমুখি হচ্ছে না এই দুই ক্লাব। আগামী মৌসুমে ঘরোয়া লিগ কিংবা উয়েফা আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে পারবে দুই দলই।
শুধু বার্সা আর ইউনাইটেডই নয়, আর্থিক সংগতি নীতি ভাঙায় শাস্তি পেয়েছে সাইপ্রাসের দল অ্যাপোয়েল ও তুরস্কের ক্লাব কোনিয়াস্পোর। দুদলকেই করা হয়েছে ১ লাখ ইউরো জরিমানা। জরিমানা গুনতে হচ্ছে তুরস্কের দল ইস্তাম্বুল বাসাকশেহির ও ত্রাবজোনস্পোর, বেলজিয়ামের দল লয়্যাল অ্যান্টেওয়ার্প আর আন্ডারলেখটকে।
ফ্রান্সের পিএসজি, ইতালির এসি মিলান, ইন্টার মিলানসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি বড় ক্লাব গত সেপ্টেম্বরে উয়েফার বিধান মেনে আর্থিক সংগতি নীতি ঠিক করে নিয়েছে। তবে পরবর্তী মৌসুমে এই ক্লাবগুলোকে নজরে রাখা হবে বলে জানিয়েছে উয়েফা।