চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় হত্যার রেকর্ড হয়েছে। এই ৬ মাসে দেশটিতে ৩৭৭টি বন্দুক হামলার ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৪০ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) মার্কিন বার্তসংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রে হত্যাকাণ্ড দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বন্দুক হত্যার তথ্য নিয়ে এপি নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে কাজ করেছে। ২০০৬ সাল থেকে তারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আগের বছর ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বন্দুক হামলায় নিহতের সংখ্যা ছিল ২৭ জন। মাত্র এক বছরের মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ৫ গুণেরও বেশি।
এই নিহতদের সবাই ‘নির্বিচারে হত্যার’ (ম্যাস কিলিং) শিকার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত পরিভাষায় কোনো এক ব্যক্তির বন্দুক হামলায় যদি একই সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে ৪ জন বা তার চেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ নিহত হন, সেক্ষেত্রে সেই হত্যাকাণ্ডকে নির্বিচার হত্যা বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এক স্কুলে গণহত্যার শিকার হওয়া সন্তানের বাবা ব্রেন্ট লিয়াথারউড বন্দুক হামলার এই রেকর্ডকে ‘ভয়ংকর মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি কখনও কল্পনাও করতে পারবেন না যে আপনার পরিবারের সন্তান এমন পরিসংখ্যানের অংশ হোক।’
নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জেমস অ্যালেন ফক্স চলতি বছরের পরিসংখ্যানে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বন্দুক হামলা যুক্তরাষ্ট্রের একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা এবং যত দিন যাচ্ছে-এটি আরও তীব্র রূপ নিচ্ছে। কয়েক বছর আগেও বন্দুক হামলায় প্রতি বছর নিহতের সংখ্যা ছিল বড়জোর দুই থেকে তিন ডজনের মধ্যে ওঠানামা করত।’
তিনি বলেন, তবে গত বছর প্রথম ৬ মাসেই ম্যাস কিলিংয়ে নিহতের সংখ্যা ২ ডজন ছাড়িয়ে যায়। আর চলতি বছর আমরা যে পরিসংখ্যান দেখতে পাচ্ছি, তা রীতিমতো আতঙ্কজনক।’