Homeসর্বশেষ সংবাদলালমনিরহাটে অনাহার-অর্ধাহারে ১৫ হাজার পরিবার

লালমনিরহাটে অনাহার-অর্ধাহারে ১৫ হাজার পরিবার

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দুর্ভোগে পানিবন্দি ১৫ হাজার পরিবার। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। এখন পর্যন্ত মিলেনি ত্রাণ সহায়তা।

সরেজমিনে দেখা যায়, চুলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রান্না পর্যন্ত করতে পারছেন না পানিবন্দি অধিকাংশ পরিবার। খেয়ে না খেয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের অভাব। সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হলেও তা এখনো পানিবন্দি এলাকায় পৌঁছায়নি। গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন তারা। অনেকেই বাধ্য হয়ে বন্যার আতঙ্কে বাড়ি-ঘর ভেঙে নিয়ে আসছেন নৌকায়। আশ্রয় নিচ্ছেন বাঁধের রাস্তায়। সেখানেই রান্না করে খাচ্ছেন তারা। রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।

গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিটন মিয়া বলে, বাসা-বাড়ি ও রাস্তা ঘাটে পানি ওঠায় পড়া লেখার অনেক অসুবিধা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে যেতে ভিজে যাচ্ছে কাপড়।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের সুলতান বলেন,

দুদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছি। এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবারে রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই। ঘরের ভেতরে পানি থাকায় গবাদি পশু উঁচু স্থানে রেখে অতি কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আর শুকনো খাবারের অভাব দেখা দিলেও মিলছে না কোনো ত্রাণ সহায়তা।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের মফিছ মিয়া বলেন, ঘরে খাবার না থাকায় পরিবারের ছয়জন সদস্য মিলে কাঁঠাল খেয়ে আছেন। চারপাশে পানি থাকায় কোনো কাজও করতে পারছেন না তারা। এখনো ত্রাণ সহায়তা পাননি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

Exit mobile version